মুম্বই: অভিনেত্রী কঙ্গনা রানাওয়াতের পালি হিলের অফিসে বেআইনি নির্মাণের অভিযোগ তুলে বুলডোজার দিয়ে অফিস ভাঙার কাজ শুরু করেছিল বিএমসি। যদিও বম্বে হাইকোর্টের নির্দেশে ২২ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত তা স্থগিত রয়েছে। এবার কঙ্গনার ফ্ল্যাট বেআইনিভাবে নির্মিত হয়েছে অভিযোগ করে নতুন করে নোটিস পাঠাল বৃহন্মুম্বই পুরসভা। মহারাষ্ট্রের পশ্চিম খারে একটি হাউসিং সোসাইটিতে থাকেন কঙ্গনা। সেখানে তিনটি ফ্ল্যাট রয়েছে তাঁর। বৃহন্মুম্বই পুরসভার অভিযোগ, অফিসের থেকে বেশি মাত্রায় অবৈধ নির্মাণ রয়েছে কঙ্গনার ফ্ল্যাটে। সুশান্ত সিংহ রাজপুতের মৃত্যুর পর থেকে মুম্বই শহর, মুম্বই পুলিশের বিরুদ্ধে সরব হয়েছেন কঙ্গনা। মুম্বইকে পাক অধিকৃত কাশ্মীরের সঙ্গে তুলনা করেছেন। সরাসরি আক্রমণ করেছেন মহারাষ্ট্রের মুখ্যমন্ত্রী উদ্ধব ঠাকরেকে। যত দিন যাচ্ছে শিবসেনা-কঙ্গনা সংঘাত ততই চরমে উঠছে। কিন্তু নানা মহলে প্রশ্ন উঠছে, কঙ্গনার অফিস ও ফ্ল্যাটে বেআইনি নির্মাণ হয়ে থাকলেএতদিন কেন তা নিয়ে সরব হয়নি বৃহন্মুম্বই পুরসভা? তথ্যের অধিকার আইন অনুযায়ী, ২০১৬-র জানুয়ারি থেকে ২০১৯ সালের জুলাই পর্যন্ত ৯৪ হাজার বেআইনি নির্মাণের অভিযোগ জমা পড়েছিল বৃহন্মুম্বই কর্পোরেশনে। কিন্তু ওই পাহাড় প্রমাণ অভিযোগের থেকে মাত্র ৫,৪০০টি ক্ষেত্রে পদক্ষেপ করেছিল মুম্বই পুরসভা। যদিও কঙ্গনা দাবি করেছেন, তাঁর অফিস ও ফ্ল্যাটে কোথাও কোনও বেআইনি নির্মাণ নেই। অফিস ভাঙার পরে কাগজপত্র নিয়ে বম্বে হাইকোর্টের দ্বারস্থ হন অভিনেত্রী। ভার্চুয়াল শুনানিতে তিনি বলেন, তাঁর কাছে নির্মাণ সংক্রান্ত যাবতীয় কাগজপত্র রয়েছে। এরপর ২২ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত অফিস ভাঙার কাজে স্থগিতাদেশ জারি করে আদালত। অফিস ভাঙার জন্য ২ কোটি টাকা ক্ষতিপূরণ চেয়েছেন কঙ্গনা।  ফ্ল্যাটে অবৈধ নির্মাণের অভিযোগ নিয়ে কঙ্গনা জানিয়েছিলেন, যে বহুতলে তিনি থাকেন, সেটির মালিক শরদ পওয়ার। ফলে বেআইনি নির্মাণের অভিযোগ তুললে সেই বিষয়টিও খতিয়ে দেখা উচিত।