নয়া দিল্লি : বছরে দু'বার দশম বা দ্বাদশের পরীক্ষায় বসা বাধ্যতামূলক নয়। এই অপশনটা দেওয়া হয়েছে ছাত্র-ছাত্রীদের চাপ কমানোর জন্য। একমাত্র সুযোগের জেরে যে ভীতি তৈরি হয় তা থেকে মুক্তি দেওয়ার জন্যই এই ব্যবস্থা বলে জানালেন কেন্দ্রীয়মন্ত্রী ধর্মেন্দ্র প্রধান (Union Education Minister Dharmendra Pradhan)।


তিনি বলেন, "ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের প্রবেশিকা পরীক্ষা JEE-র মতোই বছরে দু'বার করে ক্লাস টেন ও টুয়েলভের পরীক্ষায় বসার অপশন থাকবে ছাত্রদের। তার মধ্যে থেকে সেরা নম্বরটি বেছে নিতে পারবে ছাত্র-ছাত্রীরা। কোনও বাধ্যবাধকতা নয়, সম্পূর্ণ ঐচ্ছিক প্রক্রিয়া এটি।" কেন্দ্রীয়মন্ত্রীর সংযোজন, "ছাত্ররা প্রায়ই এই ভয়ে ভোগে যে তাদের একটা বছর নষ্ট হয়ে গেল। সুযোগ চলে গেল বা আরও ভাল ফল করা যেত...এইসব ভেবে। তাই একমাত্র সুযোগের ভীতি থেকে তৈরি হওয়া চাপ কাটানোর জন্য বিষয়টিকে ঐচ্ছিক করার সিদ্ধান্ত। যদি কোনও ছাত্র মনে করে যে সে একেবারে প্রস্তুত এবং প্রথম বারের পরীক্ষাতেই নম্বর নিয়ে সন্তুষ্ট, তাহলে সে চাইলে পরের বার পরীক্ষায় নাও বসতে পারে। কোনও কিছু বাধ্যতামূলক করা হবে না।"


গত অগাস্ট মাসে, নতুন পরিকাঠামো ঘোষণা করে কেন্দ্রীয় শিক্ষা মন্ত্রক। নতুন নিয়ম অনুযায়ী, বছরে দু'বার করে বোর্ড পরীক্ষা (Board Exam) হবে। এই বিষয়টা নিশ্চিত করতে যে, ছাত্ররা যাতে ভাল ফল করার যথেষ্ট সুযোগ পায়। পাশাপাশি, অপেক্ষাকৃত ভাল নম্বরটি বেছে নিতে পারে। কেন্দ্রীয় মন্ত্রী বলছেন, "এই সিদ্ধান্ত নিয়ে ছাত্রদের কাছ থেকে তিনি ইতিবাচক ফিডব্যাক পেয়েছেন। নতুন পরিকাঠামো সামনে আসার পর আমি ছাত্রদের সঙ্গে দেখা করি। তারা এই সিদ্ধান্তের প্রশংসা করেছে এবং এনিয়ে তারা যথেষ্ট খুশিও। ২০২৪ থেকেই আমরা বছরে দু'বার পরীক্ষা নেওয়ার চেষ্টা করছি।"



এ বছর রেকর্ড সংখ্যক ছাত্র আত্মহত্যা করেছে রাজস্থানের কোটায়। এ প্রসঙ্গে জানতে চাওয়া হলে, কেন্দ্রীয়মন্ত্রী বলেন, "খুব সংবেদনশীল বিষয়। কোনও প্রাণহানি হওয়া উচিত নয়। ওরা আমাদের সন্তান। আমাদের সকলকে দায়িত্ব নিয়ে ছাত্রদের চিন্তামুক্ত করতে হবে।"


প্রসঙ্গত, JEE বা NEET পরীক্ষার প্রস্তুতির জন্য প্রত্যেক বছর ২ লক্ষর বেশি ছাত্রছাত্রী কোটায় যায়। সরকারি সূত্র অনুযায়ী, এবছর কোটায় ২৩ জন ছাত্র আত্মহত্যা করেছে। দেশের অন্যতম সেরা কোচিং হাবে যা সর্বাধিক। গত বছর, এই সংখ্যাটা ছিল ১৫।