মুম্বই : ভ্যাকসিন নিয়ে দুর্ভোগের মধ্যে কেন্দ্রকে তীব্র ভর্ৎসনা বম্বে হাইকোর্টের। কেন বাড়িতে বাড়িতে গিয়ে হচ্ছে না টিকাকরণ? কেন্দ্রকে প্রশ্ন করে বম্বে হাইকোর্টের। পাশাপাশি তাদের পর্যবেক্ষণ, কয়েক মাস আগে থেকে যদি বাড়ি-বাড়ি গিয়ে প্রবীণ নাগরিকদের টিকাকরণ করা হত,- তাহলে বাঁচত অনেক প্রাণ।
বম্বে হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি দীপঙ্কর দত্ত ও বিচারপতি জিএস কুলকার্নির ডিভিশন বেঞ্চ এদিন দেশে চলতে থাকা ভ্যাকসিন ভোগান্তি ও করোনার জেরে মৃত্যুমিছিল প্রসঙ্গে কেন্দ্রীয় সরকারের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তোলেন। তাদের পর্যবেক্ষণ, করোনার প্রথম ঢেউ অল্প স্তিমিত হওয়ার পর ও হাতে ভ্যাকসিন চলে আসার পরও কেন কেন্দ্র প্রবীণ নাগরিকদের টিকাদানের বিষয়ে বাড়তি তৎপরতা দেখায়নি। প্রবীণ নাগরিকদের অনেকেই শারীরিকভাবে অশক্ত, তাই যদি কেন্দ্র বাড়ি বাড়ি গিয়ে ভ্যাকসিন দেওয়ার ব্যবস্থা করত, তাহলে হয়তো অনেক প্রাণ বাঁচানো সম্ভব হত বলেই পর্যবেক্ষণ বম্বে হাইকোর্টের।
গোটা ভারত এই মুহূর্তে করোনার দ্বিতীয় ঢেউয়ের সুনামিতে লন্ডভন্ড। রোজই লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে দৈনিক সংক্রমিত, মৃতের সংখ্যা। দেশের স্বাস্থ্যমন্ত্রকের প্রকাশ করা বুলেটিনই জানাচ্ছে, ভারতে গত ২৪ ঘণ্টায় মৃত্যু হয়েছে ৪ হাজার ২০৫ জনের। যার ফলে দৈনিক মৃত্যুতে বিশ্বে ফের সর্বকালীন রেকর্ড গড়েছে ভারত। গত ২৪ ঘণ্টায় ভারতে নতুন করে করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন ৩ লক্ষ ৪৮ হাজার ৪২১ জন।
পাশাপাশি গোটা দেশজুড়েই চলছে ভ্যাকসিনের আকাল। বিভিন্ন রাজ্যের সঙ্গে ভ্যাকসিন-বন্টন ঘিরে কার্যত রোজই বাগযুদ্ধে জড়াচ্ছে কেন্দ্রীয় সরকার। এদিকে, দেশে চলছে থাকা কোভিড পরিস্থিতি তৈরি হওয়া নিয়ে কেন্দ্রীয় সরকারের ভূমিকার সমালোচনা এর আগে করেছে দেশের একাধিক আদালত। দিল্লি হাইকোর্ট ও সুপ্রিম কোর্ট কড়া ভাষাতেই বারবার সমালোচনা করেছে কেন্দ্রের।
কয়েকদিন আগেই সুপ্রিম কোর্টের সঙ্গে ভ্যাকসিন বন্টন প্রক্রিয়া কেন্দ্রকে তুলোধনা করেছিল। তারা প্রশ্ন তুলেছিল দাম নিয়েও। কেন্দ্র যদিও পরিস্থিতি সামাল দিতে তাদের তরফে যথাসাধ্য চেষ্টা করছে বলেই দেশের শীর্ষ আদালতে জানিয়েছিল।