সোদপুর: আবারও অমানবিক হাসপাতাল। টাকা দিতে না পারায় কোভিড রোগীর মৃতদেহ আটকে রাখল সোদপুরের এক বেসরকারি হাসপাতাল। বারাকপুর নোনা চন্দনপুকুরের বাসিন্দা ৬৪ বছরের  প্রদীপ কুমার দেবনাথ। গত ৩০ এপ্রিল তিনি কোভিড পজিটিভ হয়ে সোদপুরের এক বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি হন। সেখানেই চিকিৎসা চলছিল তাঁর।


সোমবার ১০ এপ্রিল প্রদীপ বাবু মারা যান। হাসপাতালের বিল হয় ৩ লক্ষ ১৮ হাজার টাকা। তবে আর্থিক সামর্থ না থাকায় পুরো টাকা দিতে পারেননি মৃতের পরিবার। ১ লক্ষ ৪৯ হাজার টাকা হাসপাতালকে দেন এবং দেহ দিতে অনুরোধ করেন। 


তবে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ মৃতদেহ হাসপাতালে রেখে দেন। বকেয়া বিল দেওয়া না মেটানো পর্যন্ত, মৃতদেহ ও ডেথ সার্টিফিকেট দেওয়া হবে না বলে জানিয়ে দেওয়া হয় কর্তৃপক্ষের তরফে। এমনটাই অভিযোগ করেছেন পরিবারের এক সদস্য পিনাকী নাথের। পাশাপাশি জানা গিয়েছে পরিবারের বাকি সদস্যরাও করোনায় আক্রান্ত। সবমিলিয়ে চূড়ান্ত হয়রানির শিকার হয়েছেন মৃতের পরিবার।  


উল্লেখ্য, সরকারের একাধিক নির্দেশিকা সত্ত্বেও কাজ হচ্ছে না। সরকারি নির্দেশ ছিল টাকার জন্য সরকারি বা বেসরকারি কোনও হাসপাতাল মৃতদেহ আটকে রাখাতে পারবে না। তবে নির্দেশিকাই সার। ফের অমানবিক ছবি সোদপুরের এই বেসরকারি হাসপাতালে। 


করোনা আক্রান্তের মৃতদেহ নিয়ে হয়রানির ছবি নতুন নয়। এর আগেও একাধিক ক্ষেত্রে দেহ নিয়ে টালবাহানার খবর উঠে এসেছে। কখনও কলকাতা, কখনও আবার শহরতলি। পরিস্থিতির ওপর রাশ টানতে রাজ্য সরকার একাধিক নির্দেশিকা জারি করেছে। বলা হয়েছিল করোনার আক্রান্ত রোগীর মৃত্যুর ৩ ঘণ্টার মধ্যেই তা সৎকার করতে হবে। বে নির্দেশিকা মেনে কোনও কাজই করল না সংশ্লিষ্ট হাসপাতাল।