দিল্লি: ফের ভূমিকম্প (Earthquake in Delhi) দেশের রাজধানীতে। এএনআই সংবাদ সংস্থা সূত্রে খবর, এদিন ফের ভূমিকম্প অনুভূত হয়েছে দিল্লিতে। মূলত, দিল্লি-এনসিআর, নেপাল। রিখটার স্কেলে তীব্রতা ৫.৪। উৎসব উত্তরাখণ্ডের পিথোরাগড়। ক্ষয়ক্ষতির খবর নেই।  শনিবার রাত ৮ টা নাগাদ, দিল্লি-সহ সংযুক্ত শহরের বাড়ি এবং অফিস থেকে আতঙ্কে বাইরে বেরিয়ে আসে মানুষ।


 






প্রসঙ্গত, উল্লেখ্য, কয়েকদিন আগেই মধ্যরাতে উত্তর ভারতে ভূমিকম্প হয়। সেবার কেঁপে উঠেছিল দিল্লি, উত্তরাখণ্ড, উত্তরপ্রদেশের একাংশ। রিখটার স্কেলে তীব্রতা ছিল ৬ দশমিক ৩। বৃহস্পতিবার নেপালে একটি  ৬.৩ মাত্রার ভূমিকম্পর পর ফের আঘাত হয় ভারতের ভূখণ্ডে। কেঁপে ওঠে দেশের বিরাট অংশ। রাত তখন ২ টো।  দিল্লি এবং পার্শ্ববর্তী শহরগুলিতে শক্তিশালী কম্পন অনুভূত হয়।  মধ্যরাতে কেঁপে ওঠে পায়ের নিচের মাটি। আতঙ্কে ঘর , বাড়ি ছেড়ে  বেরিয়ে আসতে আসে মানুষ। তীব্র কম্পন প্রায় ১০ সেকেন্ড স্থায়ী হয়।  নয়ডা এবং গুরুগ্রাম থেকেও কম্পন বোঝা যায়। ন্যাশনাল সেন্টার ফর সিসমোলজি অনুসারে ভূমিকম্পের গভীরতা ছিল প্রায় ১০ কিলোমিটার। সেদিন ভূমিকম্পের কেন্দ্রস্থল ছিল পার্শ্ববর্তী দেশ নেপাল। প্রায় ১ মিনিট ধরে ভূমিকম্পের কম্পন অনুভূত হয় সেখানে। দিল্লি-এনসিআর ছাড়াও উত্তরপ্রদেশ-উত্তরাখণ্ড, বিহার, হরিয়ানা এবং মধ্যপ্রদেশ পর্যন্ত ভূমিকম্পের শক্তিশালী কম্পন অনুভূত হয়েছিল। 


নেপালে ভূমিকম্পের কেন্দ্রস্থল ছিল মণিপুর ন্যাশনাল সেন্টার ফর সিসমোলজির মতে, ভূমিকম্পের কেন্দ্রস্থল ছিল নেপালের কালুখেতিতে মাটির ১০ কিলোমিটার নিচে। রিখটার স্কেলে এর তীব্রতা মাপা হয়েছিল ৬.৩। রাত ১.৫৭ নাগাদ সেখানে ভূমিকম্পের কম্পন অনুভূত হয়। বিকাল ৩:১৫ মিনিটে নেপালের একই স্থানে সেখানেই ভূমিকম্পের কেন্দ্র ছিল। দিল্লিতে ভূমিকম্পের কম্পনের সময় বেশিরভাগ মানুষই ঘুমিয়ে ছিলেন। যাঁরা জানতে পেরেছিলেন তাঁরা সঙ্গে সঙ্গে বাড়ি থেকে বেরিয়ে আসেন বাড়ি থেকে। উঁচু বাড়ি গুলি আতঙ্কে ছাড়ে বাসিন্দারা। এদিকে ৪৮ ঘন্টার মধ্য়েই ফের ফের ভূমিকম্প দিল্লিতে।


আরও পড়ুন, অখিলের বিতর্কিত মন্তব্য জের, রাজ্যপালকে চিঠি শুভেন্দুর


 ভূমিকম্পের সময় কয়েকটি বিষয় মাথায় রাখতে হবে। নিরাপদ স্থানে থাকা আপনার জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ। ভূমিকম্পের কারণে ভবন ও ঘরবাড়ি ধসে পড়ার আশঙ্কা থাকে। ভূমিকম্পে যত মৃত্যু হয় সবই বাড়ির ধ্বংসস্তূপের নিচে চাপা পড়ে। এমন পরিস্থিতিতে ভূমিকম্পের সময় নিরাপদ স্থানে থাকা জরুরি। ফাঁকা জায়গা, যার আশেপাশে বড় বাড়ি নেই, সেখানে থাকতে পারলে ভালো।