জোহানেসবার্গ: চাঁদের দক্ষিণ মেরুতে যখন ভারত (India) পৌঁছল, ঠিক তখনই ব্রিকস সামিটের জন্য দক্ষিণ আফ্রিকায় রয়েছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (Narendra Modi)। সেখান থেকেই অনলাইনে চন্দ্রযান ৩-এর অবতরণের মুহূর্ত সঙ্গী হয়েছেন মোদি। সফল অবতরণের পরে ভার্চুয়াল মাধ্যমে বক্তব্যও রেখেছেন। তারপরেই দেশ থেকে বহুদূরে দক্ষিণ আফ্রিকায় অভিনন্দন ও শুভেচ্ছাবার্তায় ভেসেছেন তিনি। 


জোহানেসবার্গে (South Africa) ব্রিকস সামিটের মাঝেই (Brics Summit) ভোজসভার আয়োজন হয়েছিল। তার ঠিক আগে আগে চাঁদের বুকে নেমে গিয়েছে চন্দ্রযান। তাই সেই ভোজসভাতেই শুভেচ্ছার বন্যায় ভাসলেন মোদি। বিশ্বের একাধিক রাষ্ট্রনেতা অভিনন্দন জানান তাঁকে। সেই সময়েই ফ্রেমবন্দি হয়েছে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এবং ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি আলাপচারিতার এক মুহূর্ত। চন্দ্রযান ৩ (Chandrayaan 3) -এর সাফল্যের জন্য় নরেন্দ্র মোদিকে অভিনন্দন বার্তা জানিয়েছেন শেখ হাসিনা।


উচ্ছ্বাসে মেতেছিলেন দক্ষিণ আফ্রিকায় থাকা ভারতীয় ও ভারতীয় বংশোদ্ভুতরাও। বিশ্বের প্রথম দেশ হিসেবে চাঁদের দক্ষিণ মেরুতে মহাকাশযানের সফট ল্যান্ডিং করিয়েছে ভারতের ISRO। তার পরেই উচ্ছ্বাস দেখা গিয়েছে বিশ্বের কোণায় কোণায় থাকা ভারতীয় ও ভারতীয় বংশোদ্ভুতদের মধ্য়ে। একই ছবি দেখা গিয়েছে দক্ষিণ আফ্রিকাতেও। সেখানে বসবাসকারী ভারতীয়দের সঙ্গে উচ্ছ্বাসের সঙ্গী হয়ে দেখা দিয়েছে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকেও। 


কাজ শুরু প্রজ্ঞানের:
অবতরণের পরে ধুলোর ঝড় থামতেই ল্যান্ডার বিক্রমের পেটের ভিতর থেকে চাঁদের বুকে নেমেছে রোভার প্রজ্ঞান। চন্দ্রবক্ষে পড়েছে অশোক স্তম্ভ ও ইসরোর প্রতীকের ছাপ। আগামী ১৪ দিন খুব গুরুত্বপূর্ণ। কারণ, চাঁদের একদিন পৃথিবীর ১৪ দিনের সমান। ১৪ দিন পর, চাঁদে নামবে রাত। ফলে যে জায়গায় বিক্রম ও প্রজ্ঞান আছে, সেখানে সূর্যের আলো পৌঁছবে না। আর সৌরশক্তি না মেলায় সাময়িক বিশ্রামে চলে যাবে বিক্রম ও প্রজ্ঞান। বিক্রমকে ছেড়ে প্রজ্ঞান সর্বাধিক ৫০০ মিটার দূরত্ব যেতে পারে। তবে ল্যান্ডার থেকে নামার পরেই চাঁদের মাটি থেকে নমুনা সংগ্রহ করে তথ্য পাঠানোর কাজ শুরু করেছে প্রজ্ঞান। নড়াচড়া সীমাবদ্ধ হলেও, বিক্রম ও প্রজ্ঞান অনেকটা দূর পর্যন্ত দেখতে পাচ্ছে। এমন জায়গার ছবি তুলছে যা বিশ্ব প্রথমবার দেখতে পাবে। এই ছবি দেখে চাঁদের ওই এলাকার ভূ-প্রকৃতি কেমন তার একটা পরিষ্কার আঁচ পাবেন ইসরো-র বিজ্ঞানীরা। যা ভারতের পরবর্তী অভিযানের রসদ জোগাবে। এর ভিত্তিতেই ঠিক হবে আগামী চন্দ্র-অভিযানে কোন কোন বিষয় গুরুত্ব পাবে। পরের বছর জাপানের সঙ্গে হাত মিলিয়ে চাঁদের মেরু অভিযান অর্থাৎ লুনার পোলার এক্সপ্লোরার এক্সপিডিশনে নামছে ইসরো। 


আরও পড়ুন: সবে চাঁদের মাটি ছুঁয়েছে চন্দ্রযান-৩, আবারও কাজে নেমে পড়ল ISRO, ’২৬-এ চন্দ্রযান-৪