ত্রিরুঅনন্তপুরম: আমদাবাদে বিমান ভেঙে পড়ার রেশ এখনও কাটেনি। রবিবার সকালেও উদ্ধারকার্য চলছে সেখানে। আর সেই আবহেই কেরলে জরুরি অবতরণ করল ব্রিটেনের যুদ্ধবিমান। কেরলের তিরুঅনন্তপুরম বিমানবন্দরে জরুরি অবতরণ করল ব্রিটিশ রয়্যাল নেভির F-35B যুদ্ধবিমান। মাঝ আকাশে জ্বালানি কমে যাওয়াতেই তড়িঘড়ি জরুরি অবতরণ করানো হয় বিমানটিকে। (British F-35 Emergency Landing)
শনিবার রাতে তিরুঅনন্তপুরম আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণ করে ব্রিটেনের যুদ্ধবিমানটি। ভারত মহাসাগরের উপর চক্কর কাটার সময় জ্বালানিতে টান পড়ে বলে জানা গিয়েছে। এতেই রাত ৯.৩০টা নাগাদ তিরুঅনন্তপুরম এয়ার ট্রাফিক কন্ট্রোলের সঙ্গে যোগাযোগ করেন যুদ্ধবিমানের পাইলট। অনুমতি মেলার পর তড়িঘড়ি সেটিকে নামানো হয় বিমানবন্দরে। রবিবার দুপুরেও সেখানেই দাঁড়িয়ে রয়েছে যুদ্ধবিমানটি। (Kerala News)
এই মুহূর্তে ভারত ও প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলে মহড়া দিচ্ছে ব্রিটেনের ওই যুদ্ধবিমানটি। HMS Prince of Wales বিমান ক্যারিয়ারে মোতায়েন থাকার কথা। ভারতীয় নৌবাহিনীর সঙ্গে সম্প্রতি মহড়াও দেয় যুদ্ধবিমানটি। F-35B যুদ্ধবিমানটি আমেরিকার লকহিড মার্টিন সংস্থার তৈরি। সেটি একটি ফিফথ জেনারেশন স্টেলথ ফাইটার জেট, অর্থাৎ অর্থাৎ সেন্সরে সহজে সেটির গতিবিধি ধরা পড়ে না। অত্যাধুনিক এই যুদ্ধবিমান রানওয়ে ছাড়াই সরাসরি মাটি থেকে আকাশে উড়তে পারে, আবার আকাশ থেকে মাটিতে নেমেও আসতে পারে।
জরুরি পরিস্থিতিতে যুদ্ধবিমানটিকে প্রিন্স ওফ ওয়েলস ক্যারিয়ারে নামানো গেল না কেন, তা এখনও পর্যন্ত স্পষ্ট নয়। তবে রাতে আবহাওয়া খারাপ ছিল বলে জানা যাচ্ছে। সেন্সরকে ফাঁকি দিতে প্রস্তুত বলে F-35B যুদ্ধবিমানের চাহিদাও তুঙ্গে। আমেরিকা, ব্রিটেন, ইজরায়েল এবং NATO-র হাতে এই অত্যাধুনিক যুদ্ধবিমান রয়েছে, যা প্রতিপক্ষের থেকে এগিয়ে রাখে তাদের।
এই জরুরি অবতরণ নিয়ে এখনও পর্যন্ত কোনও বিবৃতি দেয়নি ব্রিটেনের প্রতিরক্ষা মন্ত্রক। লকহিড মার্টিনও কোনও প্রতিক্রিয়া জানায়নি। কী পরিস্থিতিতে জরুরি অবতরণ করতে হয়, স্পষ্ট ভাবে জানা যায়নি এখনও পর্যন্ত। কোনও প্রাণহানির ঘটনা ঘটেনি, যুদ্ধবিমানটির কোনও ক্ষতিও হয়নি। তবে সেটিকে একঝলক দেখতে মানুষের আনাগোনা বেড়েছে। বিমানটি কখন বিমানবন্দর ছাড়বে, বিষয়টি নিয়ে আলোচনা চলছে কি না, জানা যায়নি। তবে আমদাবাদ বিমান বিপর্যয়ের পর এই ঘটনায় উদ্বেগ দেখা দেয়।