তবে সিটরিওডিওল করোনাভাইরাস ঠেকাতে কতদূর কার্যকর হবে, তা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। ব্রিটিশ কর্মকর্তারা অবশ্য এর কার্যকারিতার সমর্থনে কোনও প্রমাণ দেখাতে নারাজ। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (হু) আবার বলেছে, এখনও পর্যন্ত এমন কোনও প্রমাণ মেলেনি যে, করোনাভাইরাস মশাবাহিত বা মশার কামড়ে সংক্রমণ হয়। তাই মশা, পোকামাকড় ঠেকানোর ওষুধ এক্ষেত্রে কাজে লাগবে না। তারা করোনাভাইরাস সংক্রমণ রোধের পরামর্শবলীর মধ্যে এই ওষুধ ব্যবহারের কথা বলেনি। হু বলেছে, নিজেকে রক্ষা করতে অ্যালকোহল আছে, এমন হাত পরিষ্কার করার স্যানিটাইজার বা সাবান ও জল দিয়ে হাত বারবার ধুয়ে নিন। হাঁচি-কাশি দিচ্ছে, এমন কারও ছোঁয়া এড়ান।
খবরটা প্রকাশের পর পাবলিক হেলথ ইংল্যান্ড অবশ্য জানিয়েছে, সরকারের অ্যাডভাইসরিতে কোভিড-১৯ সংক্রমণ থেকে রক্ষায় এমন কোনও পণ্য ব্যবহারের কথা নেই।
যদিও স্কাই নিউজ একটি সূত্রকে উদ্ধৃত করে জানিয়েছে, অন্যান্য ব্যবস্থার পাশাপাশি পোকামাকড় দমনের ওষুধের ব্যবহার ঐচ্ছিক করা হয়েছে। এই ওষুধ কাউকে সাহায্য না করলেও ক্ষতি হওয়ার সম্ভাবনাও নেই, তাই কোনও ঝুঁকি থাকছে না। তাদের রিপোর্টে আরও বলা হয়েছে, ব্রিটিশ জওয়ানদের হাত ধোওয়ার আগে ব্যবহারের জন্য এক ধরনের সংক্রমণরোধী পদার্থ দেওয়া হবে, রোগ প্রতিরোধী শক্তি চাঙ্গা রাখতে ভিটামিন ডি সাপ্লিমেন্টও পাবে তারা।
প্রতিরক্ষামন্ত্রকের জনৈক মুখপাত্র বলেছেন, সশস্ত্র বাহিনীর সুরক্ষা ও কল্যাণ আমাদের অগ্রাধিকার। ওদের সুস্থ থাকতে ও দরকারের সময় তৈরি থাকতে সাহায্য করার জন্য মন্ত্রক ভেবে দেখছে, আর অতিরিক্ত কী কী ব্যবস্থা নেওয়া যেতে পারে রোগ প্রতিরোধী শক্তি অটুট রাখার জন্য।