Bomb Threat: ভিড় ট্রেনে উঠতে সকলেরই বিরক্তি লাগে। একটুর জন্য যদি জায়গা না পাওয়া যায় তাহলেও ভীষণ রাগ হয়। ট্রেনে সিট না পেলে স্বভাবতই মেজাজ বিগড়ে যেতে পারে। কিন্তু তার জন্য সম্প্রতি দুই ভাই যা করেছেন, তা কল্পনারও অতীত। ভিড় ট্রেনের জেনারেল বগিতে উঠে জায়গা পাননি এই দুই ভাই। তাঁরা সিট নিয়ে তুমুল বচসায় জড়িয়ে পড়েন আরও কয়েকজন সহযাত্রীর সঙ্গে। এরপরই তাঁদের মাথায় খেলে যায় এক আজব প্ল্যান। ট্রেনে বোমা আছে, এমন গুজব ছড়িয়ে দেন দুই ভাই। বোমার কথা শুনে কিছু লোক ট্রেন থেকে নেমে যাবেন, আর সেই জায়গায় এই দুই ভাই বসবেন, এমনই পরিকল্পনা ছিল তাঁদের। তবে সিট তো জোটেইনি, উল্টে বর্তমানে পুলিশের জালে রয়েছেন ওই দুই ভাই। কারণ তাঁদের এ হেন পরিকল্পনার জেরে শুধু যে আতঙ্ক ছড়িয়েছে তাই নয়, ৪০ মিনিটেরও বেশি সময় দেরিতে চালু হয়েছে পরিষেবা।  

Continues below advertisement

দীপক চৌহান, মেকানিকের কাজ করেন লুধিয়ানায়। ভাই অঙ্কিত যিনি নয়ডার কারখানায় কাজ করেন, তাঁর সঙ্গে আম্রপালি এক্সপ্রেসে চড়েছিলেন দীপক। অমৃতসর থেকে বিহারের কাটিহার যায় এই ট্রেন। বৃহস্পতিবার রাতে সেই ট্রেনে উঠেছিলেন দীপক এবং অঙ্কিত। ট্রেনে চড়ে দুই ভাইয়ের কেউই সিট পাননি। প্রায় ঘণ্টা চারেক পর ট্রেন যখন উত্তরপ্রদেশ এটাহ্‌- তে পৌঁছেছিল, তখন কয়েকজন সহযাত্রীর সঙ্গে ঝগড়াও হয় দুই ভাইয়ের। এরপরেই দীপক আর অঙ্কিত ঠিক করেন পুলিশের কন্ট্রোল রুমে ফোন করে জানাবেন যে ট্রেনে বোমা রয়েছে। তাতে ট্রেন ফাঁকা হয়ে যাবে। কারণ আতঙ্কে কিছু যাত্রী নিশ্চিত নেমে যাবেন। আর সেই সুযোগে সিট পেয়ে যাবেন তাঁরা। যেমন ভাবা তেমন কাজ। ট্রেনে বোমা থাকার খবর পুলিশকে জানিয়েও দেন উত্তরপ্রদেশের ঘাতামপুরের বাসিন্দা এই দুই ভাই। 

ট্রেনে বোমা রয়েছে এমন খবর পেয়ে রেল পুলিশের একাধিক দল আসে খোঁজাখুঁজি করতে। আসে দমকল বাহিনী এবং বম্ব স্কোয়াডও। কানপুর সেন্ট্রাল স্টেশনে পৌঁছয় সমস্ত টিম। থামানো হয় ট্রেন। সব যাত্রীদের নেমে যাওয়ার কথা বলা হয়। প্রায় ৪০ মিনিট ধরে সমস্ত বগি ভালভাবে খুঁজে দেখা হয়। সন্দেহজনক কিছু খুঁজে না পাওয়ায় ট্রেন চালানোর নির্দেশ দেওয়া হয়। এদিকে অত পুলিশ দেখে নিজেদের ফোন বন্ধ করে দেন দীপক এবং অঙ্কিত। ভয় পেয়ে আর ট্রেনে না চড়ার সিদ্ধান্ত নেন দুই ভাই। ঠিক করেন কানপুরেই লুকিয়ে থাকবেন। এদিকে উড়ো ফোন পেয়ে এভাবে হেনস্থা হওয়ার পর জোরকদমে তদন্ত শুরু করে পুলিশ। যে ফোন থেকে তাদের কাছে কল এসেছিল সেটি খোঁজার চেষ্টা চালান তদন্তকারীরা। ফোন বন্ধ থাকায় প্রথমে সাফল্য মেলেনি। তবে শুক্রবার সকালে ফোন চালু করতেই পুলিশ দুই ভাইকে খুঁজে পেয়ে যায় এবং গ্রেফতার করা হয় তাঁদের। 

Continues below advertisement