অমৃতসর: পাক-সীমান্ত লাগোয়া (border) পঞ্জাবের (punjab) একটি গ্রামে (village) 'অনুপ্রবেশকারী' ড্রোনকে (drone) গুলি করে নামাল ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী (BSF)। সংবাদসংস্থা এএনআই জানিয়েছে, গত কাল রাতে অমৃতসর গ্রামীণ (amritsar rural) জেলার ছহরপুর (chaharpur) গ্রামের কাছে ড্রোনটিকে দেখতে পেয়েই গুলি চালায় বিএসএফ। পাকিস্তানের (pakistan) দিক থেকে আসছিল সেটি। বিএসএফের একটি সূত্রের মতে, পঞ্জাবে মাদক চোরাচালানের (smuggling) জন্য়ই ড্রোন ঢোকানোর চেষ্টা করা হচ্ছিল। ঘটনার পরই গোটা এলাকা ঘিরে ফেলা হয়েছে। পুলিশ এবং সংশ্লিষ্ট প্রত্যেক সংস্থাকে খবরও দেওয়া হয়। 


কী জানা গেল?
বিএসএফের তরফ থেকে এ নিয়ে একটি বিবৃতিও দেওয়া হয়েছে। বলা হয়, '২৮ নভেম্বর রাত ১০ টা ৪৭ মিনিট নাগাদ সীমান্তে মোতায়েন বিএসএফ আধিকারিকরা অদ্ভূত আওয়াজ পেয়েছিলেন। তখনই খেয়াল করেন, পাকিস্তানের দিক থেকে একটি সন্দেহজনক ড্রোন ভারতীয় ভূখণ্ডের ভিতর অমৃতসর গ্রামীণ জেলার ছহরপুর গ্রামের কাছে আসছে। নিয়ম অনুযায়ী, ড্রোনটিকে গুলি ছুড়ে আটকানোর চেষ্টা করা হয়। গুলি লেগেই সেটি মাটিতে আছড়ে পড়ে।' সূত্রের খবর, পরে আংশিক ক্ষতিগ্রস্ত অবস্থায় একটি হেক্সাকপ্টার উদ্ধার করেন বিএসএফ আধিকারিকরা। সঙ্গে সাদা পলিথিনে মোড়া সন্দেহজনক কিছু বস্তুরও হদিশ পাওয়া যায়। দুটিই ছহরপুর গ্রামের চাষজমির উপর পড়েছিল। সীমান্তরক্ষী বাহিনীর ধারণা, এভাবে আসলে চোরাচালানের চেষ্টা রুখে দেওয়া দিয়েছে। তাৎপর্যপূর্ণভাবে, সপ্তাহখানেক আগেই সীমান্তপারের সন্ত্রাস নিয়ে হুঁশিয়ারি শোনা গিয়েছিল ভারতীয় সেনাবাহিনীর নর্দান আর্মি কমান্ডার (Northern Army Commander) লেফটেন্যান্ট জেনারেল উপেন্দ্র দ্বিবেদীর মুখে। 


কী বলেছিলেন সেনাকর্তা?
সপ্তাহখানেক আগে লেফটেন্যান্ট জেনারেল উপেন্দ্র দ্বিবেদী বলেন, সীমান্তপারের  সন্ত্রাস নিয়ন্ত্রণে দুরন্ত ভূমিকা নিয়েছে ভারতীয় সেনা। কিন্তু পড়শি দেশ সহজে তাদের ভারত-বিরোধী কার্যকলাপে লাগাম পড়াচ্ছে না। তিনি বলেন, 'ওরা এখন পিস্তল, গ্রেনেড এবং মাদক ঢুকিয়ে বিচ্ছিন্ন ভাবে অশান্তি পাকানোর চেষ্টা করছে। আমরা তা সফল হতে দেব না।' সঙ্গে আরও বলেন, 'লঞ্চপ্যাডগুলিতে এই মুহূর্তে অন্তত ১৬০ জন সন্ত্রাসবাদী ঘাপটি মেরে বসে রয়েছে। এর মধ্যে ১৩০ জন পিরপাঞ্জালের উত্তর দিকে লুকিয়ে, আর বাকি ৩০ জন পিরপাঞ্জালের দক্ষিণ দিকে। পুরো এলাকা ধরলে ৮২ জন পাকিস্তানি জঙ্গি ও ৫৩ জন স্থানীয় সন্ত্রাসবাদী স্রেফ সুযোগের অপেক্ষায় থাকছে। এছাড়াও অন্তত ১৭০ জন এমন সন্ত্রাসবাদী রয়েছে যাদের নাম-পরিচয় অজানা। মোট ৩০০ জন জঙ্গি গোটা এলাকায় ছড়িয়ে ছিটিয়ে রয়েছে। তবে আমরা লক্ষ্য রাখছি যাতে কোনও অপ্রীতিকর ঘটনা না ঘটে।'  


আরও পড়ুন:এই সপ্তাহেই জমিয়ে শীত? জানিয়ে দিল আবহাওয়া দফতর