ভয়ঙ্কর, বীভৎস ! প্রবল চিৎকার, আর্তনাদ। কিন্তু শেষ রক্ষা হল না বেশির ভাগেরই। দাউ দাউ করে লাগা আগুনে বাসের মধ্যেই পুড়ে ছাই হয়ে গেল একটার পর একটা প্রাণ। কর্ণাটকের চিত্রদুর্গ জেলার ঘটনা। ট্রাকের ধাক্কায় একটি বেসরকারি স্লিপার বাসে আগুন লেগে কমপক্ষে ১০ জন জীবন্ত পুড়ে ছাই হয়ে গেল। বুধবার রাত আড়াইটা নাগাদ জাতীয় সড়ক-৪৮ (এনএইচ-৪৮) এ তদুর্ঘটনাটি ঘটে। বাসটি বেঙ্গালুরু থেকে শিবমোগা যাচ্ছিল। অতিক্রম করে ফেলেছিল ৩০০ কিলোমিটারেরও বেশি পথ । সম্ভবত অত্যন্ত দ্রুত গতিতেই ছুটছিল বাসটি। সে সময় অপর দিকে আসছিল একটি ট্রাক। সেটিই একসময় গতি সামলাতে না পেরে প্রথমে ডিভাইডারে ধাক্কা মারে। তারপর ব্রেক কষতে না পেরে সোজা ধাক্কা মারে যাত্রী বোঝাই বাসে। পরপর দুই ধাক্কায় মর্মান্তিক পরিণতি নেমে আসে।
পুলিশ সূত্রে খবর, এদিন রাতে, একটি লরি ডিভাইডারের ভেঙে বাসটিকে ধাক্কা দেয়। প্রাথমিক তদন্তে মনে করা হচ্ছে লরিটি বাসের জ্বালানি ট্যাঙ্কে ধাক্কা দিয়ে থাকতে পারে। যার ফলে জ্বালানি ট্যাঙ্কটি ফেটে যায়। তাতেই বিস্ফোরণের মতো আগুন ছড়িয়ে পড়ে। কয়েকজন যাত্রী আগুন থেকে বাঁচতে পারলেও, বহু যাত্রীই ভেতরে আটকে মারা যান। ট্রাক চালকের মৃত্যু নিশ্চিত করা হয়েছে। এক প্রত্যক্ষদর্শী জানিয়েছেন, সিবার্ড বাসটি ওভারটেক করে এবং তারপরে বিপরীত দিক থেকে আসা একটি কন্টেইনার ট্রাক ডিভাইডার পেরিয়ে স্লিপার বাসে ধাক্কা খায়। ট্রাকটি বাসের ডিজেল ট্যাঙ্কটিতেই ধাক্কাটা মারে। ফলে দুর্ঘটনার অভিঘাত এত তীব্র ছিল।
অভিশপ্ত বাস থেকে বেঁচে বেরিয়ে আসা এক যাত্রী জানান, গাড়িটিতে ধাক্কা লাগার সময় তিনি পড়ে যান। চারদিকে তখন শুধুই আগুন। দরজা খোলা যাচ্ছিল না বাসের। কেউ কেউ কাচ ভেঙে বেরিয়ে আসেন। চিত্রদুর্গ বাস দুর্ঘটনায় নিহতদের পরিবারের প্রতি সমবেদনা প্রকাশ করেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। অগ্নিকাণ্ডে নিহত যাত্রীদের পরিবারকে ২ লক্ষ টাকা এবং আহতদের ৫০,০০০ টাকা আর্থিক সহায়তার ঘোষণাও করেছেন তিনি।