নয়া দিল্লি : জুলাই বা আগস্টের শুরু থেকেই পর্যাপ্ত ভ্যাকসিন পাওয়া যাবে দেশে। যার জেরে দিনে এক কোটি মানুষকে ভ্যাকসিন দিতে পারবে কেন্দ্রীয় সরকার। আপাতত ভ্যাকসিন মিক্সিংয়ের দিকে যাচ্ছে না কেন্দ্র। কোভিশিল্ড ও কোভ্যাকসিনের প্রোটোকলই মানবে বলে জানিয়েছে সরকার।


এদিন কেন্দ্রের তরফে আরও জানানো হয়েছে, টানা ৭ দিন ৫ শতাংশের নীচে কোভিড পজিটিভিটি রেট থাকলেই সেই জেলা আনলক করার যোগ্য। তবে সেক্ষেত্রে জেলার ৭০ শতাংশ মানুষের টিকাকরণ সম্পূর্ণ থাকতে হবে। এরপরও কোভিড প্রোটোকোল মেনে চলতে হবে জেলার লোকজনকে। তবেই কোনও জেলা আনলক করা সম্ভব।


কেন্দ্রীয় সরকারের কোভিড ট্যালি বলছে, বর্তমানে দেশের ৩৪৪ জেলায় কোভিড পজিটিভিটি রেট ৫ শতাংশের নীচে রয়েছে। গত সপ্তাহ থেকে সক্রিয় কোভিড আক্রান্তের সংখ্যা কমেছে রাজ্য ও কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলগুলিতে। কেন্দ্রের তথ্য বলছে, গত ৭ মের পর ৬৯ শতাংশ কোভিডের গ্রাফ কমেছে দেশে।


মঙ্গলবার দেশের করোনা পরিস্থিতি নিয়ে প্রেস ব্রিফিং করেন ইন্ডিয়ান কাউন্সিল অফ মেডিক্যাল রিসার্চ (ICMR)-এর ডিরেক্টর জেনারেল বলরাম ভার্গভ। তিনি বলেন, ''দেশে কোভিড ভ্যাকসিনের অভাব নেই। আমাদের ধৈর্য্য ধরতে হবে। আমেরিকার মতো প্রায় একই সংখ্যক ভ্যাকসিন ইতিমধ্যেই দিতে পেরেছি আমরা। জুলাই বা আগস্টের শুরু থেকেই আমাদের কাছে দিনে এক কোটি মানুষকে ভ্যাকসিন দেওয়ার মতো পর্যাপ্ত টিকা থাকবে। আগামী ডিসেম্বরের মধ্যেই দেশবাসীকে টিকা দেওয়া যাবে।''


তবে শুধু (ICMR)নয়, ডিসেম্বরের মধ্যেই টিকাকরণ সম্পূর্ণ করার বিষয়ে আশ্বাস দিয়েছেন কেন্দ্রীয় তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী প্রকাশ জাভড়েকর। কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রকের পরিসংখ্যান বলছে, ইতিমধ্যেই ২১,৬০,৪৬,৬৩৮ জনকে টিকা দিতে পেরেছে কেন্দ্রীয় সরকার। আগামী দিনে এই সংখ্যাটা দিনে আরও বাড়ানোর চেষ্টা করছে কেন্দ্র। দেশে দ্বিতীয় কোভিডের ঢেউ এখন বহু রাজ্যই নিয়ন্ত্রণে এসেছে। আনলক পর্ব শুরু করেছে দিল্লি ছাড়াও মধ্যপ্রদেশ সরকার। তবে পর্যায়ক্রমে এই কাজ করবে বলেছে তারা।