দিঘা: ইয়াসের পরও এখনও উত্তাল দিঘার সমুদ্র। পুলিশের নজর এড়িয়ে দিঘার সমুদ্রে স্নান করতে গিয়ে বিপত্তি। সমুদ্রের জলের তোড়ে তলিয়ে গেল ২ জন। হাওড়া থেকে ৪ জন  বন্ধু ছুটি কাটাতে দিঘায় এসেছিলেন। পুলিশের নজর এড়িয়ে দিঘার সমুদ্রে স্নান তাঁরা। তারপরই দুজন তলিয়ে যান জলে। পুলিশের দাবি, প্রথমে বাধা দেওয়া হলেও কথা শোনেননি ওই যুবকরা।


স্মরণাতীতকালেও দিঘার এমন ভয়াবহ ছবি দেখেনি বাঙালি। ঘূর্ণিঝড়ের ঝাপটায় লণ্ডভণ্ড সৈকত নগরী। পর্যটক প্রিয় দিঘাকে ঢেলে সাজিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী। কিন্তু এখন সবই ধ্বংসস্তূপ। ইয়াসের দাপটে তছনছ দিঘা। শুক্রবার শুক্রবার রিভিউ মিটিং শেষে এলাকা পরিদর্শন করতে গিয়েলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।


মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে ছিলেন মুখ্যসচিব আলাপন বন্দ্যোপাধ্যায় এবং অন্যান্য আধিকারিকরা। দিঘার সৈকত সরণী ঘুরে এরপর সরাসরি সমুদ্র লাগোয়া বাজার এলাকায় আসেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এখানেও ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে বহু দোকান। সমস্ত দিক খতিয়ে সমস্যা সমাধানের প্রয়োজনীয় নির্দেশও দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। যত শীঘ্র সম্ভব এই ক্ষয়ক্ষতি পূরণের কথা বলেছেন তিনি। মারাত্মক ক্ষতি হয়েছে অর্থনীতির। 


সেই চেনা মাছভাজার দোকান, মুক্তোর জিনিসপত্র, ঘরোয়া আসবাবের দোকান কিংবা সৈকত লাগোয়া পাইস হোটেলগুলোর কঙ্কাল ছড়িয়ে ছিটিয়ে পড়ে আছে চারপাশে। দিঘার মোহনাতেও একই ছবি।দিঘা মোহনার কাছেই সন্দেশপুর গ্রাম। প্রায় দু’শো ঘর মানুষের বাস এখানে। ঘূর্ণিঝড় আসার আগেই সবাই আশ্রয় নেন ত্রাণ শিবিরে। শুক্রবার তাঁদের অনেকেই গ্রামে ফিরেছেন, ফিরে পেয়েছেন ঘরের কঙ্কালটুকু। 


২৬ এপ্রিল স্থলভাগে আছড়ে পড়েছিল ঘূর্ণিঝড় ইয়াস। ল্যান্ডফলের সময় ঝড়ের গতি ছিল ঘণ্টায় ১৩০-১৪০ কিলোমিটার। সর্বোচ্চ গতিবেগ ঘণ্টায় ১৫৫ কিলোমিটার। স্থলভাগে প্রবেশ করেছে ঘূর্ণিঝড়ের কেন্দ্রও। দিঘায়ভয়ঙ্কর রূপ ধারণ করে সমুদ্র। প্রবল জলোচ্ছ্বাসে প্লাবিত হয়েছে বিস্তীর্ণ এলাকা। স্থানীয় বাসিন্দাদের আগেই সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল। বহু বাসিন্দা বাড়ির মধ্যেই আটকে পড়েছিলেন। তাঁদের উদ্ধার করে সেনাবাহিনী। উদ্ধারকার্যে কাজ করেছে পুলিশ ও এনডিআরএফ টিম। আটকে পড়া মানুষদের সাহায্য করার চেষ্টা করেছেন তাঁরা।