আশাবুল হোসেন, হাবড়া : সিএএ কার্যকর হওয়ায় গতকালের পর আজও খুশির হাওয়া ঠাকুরনগরে। সোমবার থেকেই বহুদিনের স্বপ্ন সার্থক হওয়ার উদযাপনে মেতেছে মতুয়া সমাজ। আর এদিনই হাবড়ায় মতুয়া গড়ে দাঁড়িয়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বারবার সাধারণ মানুষকে সতর্ক করলেন সিএএ নিয়ে। বারবার বললেন, দরখাস্ত করবেন না ! কড়া ভাষায় সিএএ-র সমালোচনা করে মমতা দাবি করেন, ' আপনারা বেআইনি অনুপ্রবেশকারী হয়ে যাবেন। তাহলে আপনাদের সম্পত্তি কী হবে? আপনাদের চাকরি-বাকরি কী হবে? আপনাদের ছেলে-মেয়েদের পড়াশুনো কী হবে? সবটাই বেআইনি ডিক্লেয়ার হয়ে যাবে। আপনাদের কোনও অধিকার থাকবে না। এটা অধিকার কাড়ার খেলা। যখন আমরা লুডো খেলি দেখেন তো আমরা ছক্কা মারলে ঘুঁটি খোলে। এটা হচ্ছে বিজেপির লুডো খেলার ছক্কা।'

  


এনআরসি-র সঙ্গে সিএএ-কে জুড়ে দেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। হাবড়ায় দাড়িয়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ' এটা এনআরসির সঙ্গে কানেকটেড মনে রাখবেন। আপনাদের ডিটেনশন ক্য়াম্পে নিয়ে চলে যাওয়া হবে। এই দরখাস্ত করার আগে বার বার ভাববেন। একবার নয়, হাজার বার। আমরা মানছি না, আমরা মানব না। একটা মানুষ যদি অধিকার পায় আমি খুশি হব। কিন্তু, একটা মানুষ যদি বঞ্চিত হয় তার সামনে দাঁড়িয়ে আমি তাকে শেল্টার দেব। বাংলা থেকে বিতাড়িত কাউকে আমি করতে হবে না।' 


মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় আগেও বলেছিলেন, সিএএ লাগু করার দরকার নেই। সেই সুরেই আবার বললেন, 'বলুন ভোট দিয়েছেন কি দেননি এতদিন? বুক বাজিয়ে বলুন সত্য়ি কথা। আধার কার্ড ছিল, কি ছিল না। জমি আছে, কি নেই? দোকান আছে, কি নেই? তাহলে বুঝুন এই আইনটায় যেই আপনি যখনই দরখাস্ত করবেন, আপনি অবৈধ নাগরিক হয়ে গেলেন। তার মানে আপনার কোনও অধিকার আর থাকবে না। আপনি ফরেনার্স হয়ে গেলেন। '  


দু'হাজার উনিশ সালে, দ্বিতীয় বার ক্ষমতায় এসে CAA পাস করায় নরেন্দ্র মোদি সরকার। দু'হাজার চোদ্দ সালের একত্রিশে ডিসেম্বরের পর পাকিস্তান, বাংলাদেশ এবং আফগানিস্তান থেকে ধর্মীয় কারণে বিতাড়িত হিন্দু, শিখ, জৈন, বৌদ্ধ, পার্সি এবং খ্রিস্টান শরণার্থীদের জন্যই CAA। ২০১৪ সালের ৩১শে ডিসেম্বরের আগে আশ্রয় চেয়েছিলেন এবং ভারতে ৫ বছর বাস করলেই তাঁরা এ দেশে নাগরিকত্বের জন্য আবেদনের যোগ্য হবেন।                  


আরও পড়ুন :


নাগরিকত্বের জন্য আবেদন করবেন কোথায় ? এই নথিগুলি সঙ্গে আছে তো ?