নয়াদিল্লি : ২০২৩ এর শেষ লগ্নে বঙ্গ সফরে এসে, ২৪ এর ভোটের দামামা বাজিয়ে, ফের CAA চালু করার প্রতিশ্রুতি দিয়ে গেছেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। বলেছেন, 'আজ আমি আপনাদের সামনে বলে যাচ্ছি, CAA এই দেশের আইন। একে কেউ আটকাতে পারবে না।' এবার লোকসভা ভোটের আগেই দেশজুড়ে চালু হতে পারে সিএএ বলে দাবি করলেন  স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের এক আধিকারিক। দাবি পিটিআই সূত্রে। ওই সূত্রের দাবি, ' আইনের ধারা তৈরি হয়ে যাবে। এক বার ওই ধারা তৈরি হয়ে গেলেই আইনটি কার্যকর করা যেতে পারে এবং যোগ্যদের ভারতীয় নাগরিকত্ব দেওয়া যেতে পারে "। 



তিনি আরও জানিয়েছেন, লোকসভা ভোট ঘোষণার আগেই তৈরি হয়ে যাবে ধারা। ২০১৫-র আগে প্রতিবেশী দেশ থেকে আসা অ-মুসলিম শরণার্থীদের দেওয়া হবে নাগরিকত্ব। নাগরিকত্ব পাবেন হিন্দু, শিখ, জৈন, বৌদ্ধ, পার্সি ও খ্রিস্টান শরণার্থীরা। বাংলাদেশ, পাকিস্তান, আফগানিস্তান থেকে আসা শরণার্থীদের দেওয়া হবে নাগরিকত্ব। 


২০১৯-এর ১২ ডিসেম্বর, রাষ্ট্রপতির স্বাক্ষরের পর, CAA আইন হয়। কিন্তু  চার বছর পর এখনও তার রুল তৈরি হয়নি।  প্রতি ছ’মাস অন্তর ওই আইনের ধারা তৈরির জন্য অতিরিক্ত সময় চেয়ে এসেছে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক। যা নিয়ে বিজেপির অন্দরেও অসন্তোষের সুর শোনা গেছে।  এই প্রেক্ষাপটে সম্প্রতি বঙ্গ সফরে এসে, ফের CAA চালু করার প্রতিশ্রুতি দিয়ে গেছেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। শাহ বলেন, 'পশ্চিমবঙ্গে বিজেপির সরকার তৈরি হওয়া মানে, শরণার্থীদের CAA-র মাধ্য়মে নাগরিকত্ব দেওয়া। আর দিদি, শরণার্থীদের ভাইদের বিভ্রান্ত করেন, যে CAA হবে, হবে না। আইন বানিয়ে আটকে গেছে। আজ আমি আপনাদের সামনে বলে যাচ্ছি, CAA এই দেশের আইন। একে কেউ আটকাতে পারবে না। সবাই নাগরিকত্ব পাবেন।'  


কয়েক মাসের মধ্যে লোকসভা নির্বাচনের ঘোষণা হবে। তার আগেই কি তবে সিএএ লাগু হবে ? ওই সরকারি আধিকারিক জানিয়েছেন,  'হ্যাঁ, তার অনেক আগেই'। তিনি আরও বলেন, 'নিয়ম প্রস্তুত । অনলাইন পোর্টালটি তৈরি।  পুরো প্রক্রিয়াটি অনলাইনে হবে। আবেদনকারীদের কবে ভারতে এসেছিলেন তা উল্লেখ করতে হবে। আবেদনকারীদের কাছ থেকে কোনও নথি চাওয়া হবে না। ' যারা ইতিমধ্যে নাগরিকত্বের জন্য আবেদন করেছেন তাদের নতুন করে আবেদন করতে হবে না। তিনি আরও জানিয়েছেন,যোগ্য আবেদনকারীরা তাদের মোবাইল ফোন ব্যবহার করে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের একটি ডেডিকেটেড পোর্টালের মাধ্যমে CAA-এর অধীনে নাগরিকত্বের জন্য আবেদন করতে পারেন।'


এখন প্রশ্ন, তাহলে গত চার বছরে কেন ওই ধারা তৈরি করতে পারল না কেন্দ্র? এখন কি ভোটের আগে এই আইন কার্যকর করার জন্যই এত তাড়াহুড়ো ?  তাহলে কি লোকসভা ভোটে বিজেপির তুরুপে নতুন তাস CAA? রামমন্দিরের পর মোদি সরকারের আরও এক মাস্টার স্ট্রোক হতে পারে ?  স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের আধিকারিকের দেওয়া তথ্য উস্কে দিয়েছে জল্পনা। 


 


 


আরও পড়ুন :                                                                                                               


'নাগরিক না হলে সরকারি সুবিধা পাচ্ছেন কী করে?', সিএএ প্রশ্নে নাম না করে শাহকে পাল্টা মমতার