কলকাতা : উচ্চ প্রাথমিকে নিয়োগে বাড়ল অন্তর্বর্তী স্থগিতাদেশ। সাতদিনের মধ্যে প্রাপ্ত নম্বর সহ তথ্য দিয়ে ইন্টারভিউয়ের তালিকা প্রকাশ করতে হবে। যাঁদের আবেদন খারিজ হয়েছে, তাঁদের নম্বর খারিজের কারণ দেখাতে হবে। এমনই নির্দেশ দিল কলকাতা হাইকোর্ট। আগামী শুক্রবার হাইকোর্টে উচ্চ প্রাথমিকে নিয়োগ নিয়ে ফের শুনানি রয়েছে।
গত ২১ জুন উচ্চ প্রাথমিকে ইন্টারভিউয়ের তালিকা প্রকাশ করেছিল রাজ্য। কর্মশিক্ষা ও শারীরশিক্ষা ছাড়া ২০১৬-র উচ্চ প্রাথমিকের শূন্যপদে ১৪ হাজার ৩৩৯ শিক্ষক নিয়োগের জন্য ইন্টারভিউয়ের তালিকা প্রকাশিত হয়। নিয়ম মেনে তালিকা প্রকাশ করা হয়নি বলে অভিযোগ তুলে মামলা দায়ের করা হয়। তালিকায় দুর্নীতির অভিযোগ, এসএসসি-র নিয়মভঙ্গের অভিযোগ তোলেন চাকরিপ্রার্থীরা। তালিকা তৈরিতে স্বজনপোষণের অভিযোগও তোলা হয়। শুধু তাই নয়, কম নম্বর পেয়েও তালিকায় জায়গা দেওয়া হয়েছে বলে অভিযোগ তাঁদের। গত ৩০ জুন সেই মামলার শুনানিতে উচ্চ প্রাথমিকে প্রায় সাড়ে ১৪ হাজার শূন্যপদে নিয়োগে অন্তর্বর্তীকালীন স্থগিতাদেশ জারি করেছিল হাইকোর্টের বিচারপতি অভিজিত্ গঙ্গোপাধ্যায়ের বেঞ্চ।
এদিকে আজই শুনানির শুরুতে স্কুল সার্ভিস কমিশনকে অপদার্থ বলে মন্তব্য করে হাইকোর্ট। কী ধরনের আধিকারিকরা চালাচ্ছেন কমিশন ? প্রশ্ন তোলে কলকাতা হাইকোর্ট। চাকরিপ্রার্থীদের দায়ের করা মামলার শুনানিতে হাইকোর্ট বলে, "এই কমিশনকে অবিলম্বে খারিজ করা উচিত।" বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় প্রশ্ন তোলেন, ২০১৯-এর ১ অক্টোবরের নির্দেশের পরেও কেন আদালতের নির্দেশ মেনে ইন্টারভিউ তালিকা প্রকাশ করা হয়নি ?
এর পর আগামী শুক্রবার পর্যন্ত অন্তর্বর্তী স্থগিতাদেশের মেয়াদ বাড়ায় কলকাতা হাইকোর্ট। এর পাশাপাশি বিচারপতি বলেছেন, তিনি অন্তর্বর্তী স্থগিতাদেশ প্রত্যাহার করতে প্রস্তুত আছেন । কিন্তু তার শর্ত হিসেবে বিচারপতি বলেন, সাতদিনের মধ্যে স্বচ্ছতার সঙ্গে আবার ইন্টারভিউ লিস্ট প্রকাশ করতে হবে। যাঁরা ইন্টারভিউতে ডাক পাচ্ছেন, প্রত্যেকের প্রাপ্ত নম্বর এবং ব্রেকআপ দিয়ে(বা টেটে কত পেয়েছেন, বিষয়ভিত্তিক নম্বর কত পেয়েছেন) এই ইন্টারভিউ লিস্ট আগামী এক সপ্তাহের মধ্যে প্রকাশ করতে হবে। এছাড়া যাঁরা ইন্টারভিউতে ডাক পাচ্ছেন না বা যাঁদের আবেদন খারিজ হয়ে গেছে তাঁদের প্রাপ্ত নম্বর এবং তাঁদের ব্রেকআপও একইভাবে প্রকাশ করতে হবে। সেক্ষেত্রেই একমাত্র আদালত এই অন্তর্বর্তী স্থগিতাদেশের সিদ্ধান্ত প্রত্যাহার করবে। তার পরেই উচ্চ প্রাথমিকে ১৪ হাজার ৩৩৯টি পদে শিক্ষক নিয়োগের যে প্রক্রিয়া শুরু হয়েছিল, তার অনুমতি দেওয়া হবে।