কলকাতা: বিধানসভায় বিজেপি বিধায়কদের সঙ্গেই বসছেন মুকুল রায়। তাঁর আসনও রাখা হয়েছে সামনের দিকেই।কৃষ্ণনগর উত্তরের বিধায়কের ক্রমিক সংখ্যা ৪২। ৪০ নম্বর আসনে বসছেন বিজেপির চিফ হুইপ মনোজ টিগ্গা।৪১ নম্বর আসনে বসছেন মিহির গোস্বামী। তাঁর পাশেই থাকছে মুকুল রায়ের আসন। আজই শুরু হয়েছে বিধানসভার বাজেট অধিবেশন।
বিধানসভা ভোটের পর যাঁর দলবদল সবচেয়ে বেশি রাজনৈতিক আলোড়ন ফেলেছিল তিনি হলেন মুকুল রায়। জল্পনার অবসান ঘটিয়ে তৃণমূলে প্রত্যাবর্তন ঘটেছে মুকুলের। তবে তৃণমূলে ফিরলেও খাতায় কলমে এখনও তিনি বিজেপিরই বিধায়ক। রাজনৈতিক জীবনে এই প্রথমবার কোনও আসন থেকে নির্বাচিত হয়েছেন মুকুল। এরপর তিনি ছেলে শুভ্রাংশু রায়কে সঙ্গে নিয়ে তৃণমূলে যোগদান করেন।
এদিন মুকুল বিধানসভায় এসে শাসক দলের বিধায়কদের সঙ্গেই ছিলেন। তাঁর বিরুদ্ধে দলত্যাগ বিরোধী আইনে ব্যবস্থা গ্রহণের আর্জি জানিয়েছে বিজেপি। মুকুল রায় যেহেতু খাতায় কলমে এখনও বিজেপি বিধায়ক তাই তাঁকে বিরোধী আসনেই বসতে হবে। তাঁর বিরুদ্ধে দলত্যাগ বিরোধী আইনে ব্যবস্থা গ্রহণ নিয়ে তৃণমূল ও বিজেপির মধ্যে তীব্র বাকযুদ্ধ শুরু হয়েছে। বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী মুকুলের বিরুদ্ধে দলত্যাগ বিরোধী আইনে ব্যবস্থা গ্রহণের দাবিতে অধ্যক্ষর কাছে আর্জি জানিয়েছেন। পাল্টা তৃণমূল শুভেন্দুকে তাঁর বাবা শিশির অধিকারীর কথা স্মরণ করিয়ে দিয়েছে।
উল্লেখ্য, এদিন রাজ্যপালের ভাষণের মধ্যে দিয়ে শুরু হল বিধানসভার বাজেট অধিবেশন। অধিবেশনের শুরুতেই বিধানসভার ওয়েলে নেমে বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেন বিজেপি বিধায়করা। বিক্ষোভের মধ্যেই বাজেট ভাষণ পড়ার চেষ্টা করেন রাজ্যপাল। কিন্তু মাত্র চার মিনিটেই ভাষণ শেষ করেন রাজ্যপাল জগদীপ ধনকড়। আজ ঠিক ১.৪৮ মিনিটে রাজ্যপালের কনভয় এসে পৌঁছয় বিধানসভা ভবনে। সেখানে পৌঁছে রাজ্যপাল বিধানসভা চত্বরে অম্বেডকরের মূর্তিতে মাল্যদান করেন। এরপর তাঁকে অভ্যর্থনা জানাতে এগিয়ে আসেন মুখ্যমন্ত্রী এবং বিধানসভার অধ্যক্ষ বিমান বন্দ্যোপাধ্যায়। রাজ্যপালের হাতে পুস্পস্তবক তুলে দেন তাঁরা। এরপরই রাজ্যপালের সঙ্গে মুখ্যমন্ত্রী এবং অধ্যক্ষ বিধানসভা কক্ষে প্রবেশ করেন।