সৌভিক মজুমদার, কলকাতা: বেসরকারি স্কুলের টিউশন ফি-র ২০ শতাংশ মকুবের নির্দেশ কলকাতা হাইকোর্টের। সেইসঙ্গে স্কুলগুলিকে বলা হয়েছে, করোনা পরিস্থিতিতে নন-অ্যাকাডেমিক ফি নেওয়া যাবে না। মুনাফা ৫ শতাংশের মধ্যে সীমাবদ্ধ রাখতে হবে। হাইকোর্টের নির্দেশের বিরুদ্ধে সুপ্রিম কোর্টে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে বিভিন্ন স্কুল। করোনা সঙ্কটের জেরে অনেকেরই আর্থিক অবস্থা এখন অত্যন্ত খারাপ। এই পরিস্থিতিতে হাইকোর্টের নির্দেশে কিছুটা রেহাই পেলেন বেসরকারি স্কুলের পড়ুয়াদের অভিভাবকরা।
মঙ্গলবার অভিভাবকদের ফি মকুবের আবেদনের প্রেক্ষিতে কলকাতা হাইকোর্ট নির্দেশ দেয়, এ বছরের এপ্রিল থেকে স্কুল না খোলা পর্যন্ত সব বোর্ডের ১৪৫টি বেসরকারি স্কুল ন্যূনতম ২০ শতাংশ ফি মকুব করবে। বর্তমান অর্থবর্ষে কোনও ফি বৃদ্ধি করা যাবে না।
লকডাউনের মধ্যে লাইব্রেরি, স্পোর্টস, ল্যাবেরোটরিক মতো যে পরিষেবা পড়ুয়ারা পায়নি, তার জন্য টাকা নেওয়া যাবে না।
করোনা পরিস্থিতিতে স্কুলগুলিকে তাদের মুনাফা ৫ শতাংশের মধ্যে সীমাবদ্ধ রাখতে হবে।
কোনও স্কুল ২০২০-‘২১ অর্থবর্ষে কোনও শিক্ষক বা অশিক্ষক কর্মীর বেতন বৃদ্ধি করলে তা ফি থেকে নেওয়া যাবে না।
সেইসঙ্গে হাইকোর্ট জানিয়েছে, অতিরিক্ত ছাড় বা কিস্তিতে ফি জমা দেওয়ার জন্য অভিভাবকরা ১৫ নভেম্বরের মধ্যে আবেদন জানাতে পারবেন। স্কুলকে সেই বিষয়ে ৩১ ডিসেম্বরের মধ্যে নিজেদের সিদ্ধান্ত জানাতে হবে।
মঙ্গলবার কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি সঞ্জীব বন্দ্যোপাধ্যায় ও মৌসুমী ভট্টাচার্যের ডিভিশন বেঞ্চে এই মামলার শুনানি হয়। আদালত সূত্রে খবর, স্কুলের ফি সংক্রান্ত বিভিন্ন বিষয় খতিয়ে দেখার জন্য হাইকোর্ট ৩ সদস্যের কমিটি গঠন করেছে।

তবে হাইকোর্টের এই নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ করে বেসরকারি স্কুলগুলির সংগঠন সুপ্রিম কোর্টে যাচ্ছে বলে জানিয়েছেন আইসিএসই কাউন্সিলের সদস্য নবারুণ দে।
এর আগে করোনা পরিস্থিতিতে ফি মকুবের জন্য হাইকোর্টে আবেদন জানিয়েছিলেন অভিভাবকরা।২১ জুলাই হাইকোর্ট নির্দেশ দিয়েছিল, অভিভাবকদের স্কুল ফি-এর ৮০ শতাংশ মিটিয়ে দিতে হবে। সেই মামলাতেই এদিন নতুন নির্দেশ দিল হাইকোর্ট। মকুব করা হল টিউশন ফি-র ২০ শতাংশ। তবে হাইকোর্ট জানিয়েছে, যেসব স্কুলের মাসিক ফি ৮০০ টাকার কম, তাদের ক্ষেত্রে এই নির্দেশ কার্যকর হবে না।