কলকাতা: উৎসব মুখর শহরে ফের প্রাণ কাড়ল বেপরোয়া গতি! মদ্যপ অবস্থায় বাইক চালাতে গিয়ে বেহালায় তরুণের মৃত্যু।  পঞ্চমীর পর একই ঘটনার পুনরাবৃত্তি ষষ্ঠীর মধ্যরাতেও।
শুক্রবার গভীর রাতে বেহালা থানার অদূরেই এই দুর্ঘটনা ঘটে। পুলিশ জানিয়েছে, বন্ধু সৌম্য ঘোষকে নিয়ে নিজের বাইকে বেপরোয়া গতিতে ঠাকুরপুকুর থেকে বেহালা আসছিলেন অরিজিৎ রায় নামে এক তরুণ। আচমকাই সামনে চলে আসে একটি ট্রাক। নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে সোজা ট্রাকে ধাক্কা মারেন অরিজিৎ। তাঁর মাথায় হেলমেট থাকলেও, ছিল না সৌম্যর মাথায়।
গুরুতর জখম অবস্থায় দুই তরুণকে বেহালার বিদ্যাসাগর হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। অরিজিতকে মৃত ঘোষণা করেন চিকিৎসক। অবস্থার অবনতি ঘটায় আলিপুরের হাসপাতালে স্থানান্তরিত করা হয় সৌম্য ঘোষকে।
দুর্ঘটনার প্রাথমিক তদন্তের পর পুলিশ জানিয়েছে, মত্ত অবস্থায় বাইক চালাতে গিয়ে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ফেলেন অরিজিৎ। আর তার জেরেই ভয়ঙ্কর পরিণতি। পুজোর আগেই লালবাজার থেকে জানানো হয়, হেলমেটহীন মোটরবাইক আরোহীদের রেয়াত করা হবে না। বাইকে দু’জনের বেশি লোক নিয়ে দাপিয়ে বেড়ানো যাবে না। নিয়ম ভাঙলে বাজেয়াপ্ত করা হবে গাড়ি, শাস্তি হবে নিয়ম ভঙ্গকারীর।
কিন্তু, বাইক আরোহীরা যে পুলিশের নির্দেশের তোয়াক্কাই করছে না, তা পরিষ্কার হয়ে যায় পঞ্চমীর রাত গড়াতেই। হেলমেট ছাড়া বাইক চালাতে গিয়ে বাইপাস সংলগ্ন অম্বেদকর সেতুতে দুর্ঘটনায় মৃত্যু হয় ২ ভাই সহ ৩ নাবালকের।
ঘটনার মাত্র পনেরো মিনিটের মধ্যে মা উড়ালপুলে বাইক দুর্ঘটনায় মৃত্যু হয় কার্তিক অধিকারী নামে এক যুবকের। একরাতে ৪ জনের মৃত্যুর পর ষষ্ঠীর সকাল থেকে বেপরোয়া বাইক রুখতে তৎপর হয় পুলিশ। কিন্তু, অবস্থার যে বিশেষ বদল ঘটেনি, তা চোখে আঙুল দিয়ে দেখিয়ে দিল বেহালার ঘটনা।