কলকাতা: কালো টাকার কারবার রুখতে তৎপর আয়কর দফতর। এ রাজ্য-সহ গোটা দেশেই অভিযান চালাচ্ছে তাদের ইনটেলিজেন্স ও ক্রিমিন্যাল ইনভেস্টিগেশন উইং। সূত্রের দাবি, সোমবার যাদবপুরে পাল বাজারের এক ডিম ব্যবসায়ীর কাছ থেকে ২ হাজারের নোটে ১১ লক্ষ টাকা পাওয়া গিয়েছে!
আয়কর দফতর সূত্রে খবর, বড়বাজারের মনোহর দাস কাটরায় কয়েক জন স্বর্ণ ব্যবসায়ীর কাছ থেকে বাজেয়াপ্ত হয়েছে ২২ লক্ষ টাকা! এক্ষেত্রেও সবই নতুন ২ হাজারের নোট!
গোটা অভিযানের রণকৌশল চূড়ান্ত করেছেন আয়কর দফতরের ইনটেলিজেন্স উইংয়ের অ্যাডিশনাল ডিরেক্টর প্রিয়ব্রত প্রামাণিক। সূত্রের দাবি, আয়কর দফতর জানতে পেরেছে ৮ নভেম্বরের পর থেকে পশ্চিম মেদিনীপুর গ্রামীণ ব্যাঙ্কের একাধিক অ্যাকাউন্টে প্রায় ১০০ কোটি টাকা জমা পড়েছে। যার মধ্যে কয়েকটি জনধন ও জিরো ব্যালান্স অ্যাকাউন্টও রয়েছে।
কিন্তু এই বিপুল পরিমাণ টাকা কারা জমা দিল? উত্তর পেতে এদিন ওই ব্যাঙ্কে হানা দেন আয়কর আধিকারিকরা। খতিয়ে দেখা হয় কম্পিউটার ও সিসিটিভি ক্যামেরার ফুটেজ।
দেশের অন্যান্য শহরেও তল্লাশি অভিযান অব্যাহত রেখেছে আয়কর দফতর ও ইডি। মহারাষ্ট্রের নাসিকে দুটি জায়গা থেকে ২ হাজারের নোটে ৩০ লক্ষ টাকা বাজেয়াপ্ত হয়েছে।
চণ্ডীগড়ের একটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের মালিকের কাছ থেকে পাওয়া গিয়েছে ৪৭ লক্ষ টাকা। এর মধ্যে ৪৬ লক্ষ ৮০ হাজার টাকাই ২ হাজারের নতুন নোটে!
হিসেব বহির্ভূত টাকা উদ্ধারের যেমন বিরাম নেই, তেমন মৃত্যুমিছিলও অব্যাহত! উত্তরপ্রদেশের মুজফফরনগরে, ছেলের বিয়ের টাকা তুলতে না পেরে এক কৃষক আত্মঘাতী হয়েছেন বলে তাঁর পরিবারের দাবি। এদিনই পূর্ব দিল্লির পাণ্ডবনগরে এটিএম ভ্যান থেকে ৫ লক্ষ টাকা লুঠ করেছে দুষ্কৃতীরা।