কলকাতা: ডেঙ্গি আতঙ্কে কাঁটা হয়ে রয়েছে নিউটাউটেন প্রমোদগড়। সপ্তাহখানেকের মধ্যে এই এলাকায় ২ জনের মৃত্যু। ৬ নভেম্বর মারা যান বছর চল্লিশের শ্যামল বসু। ১৩ তারিখ ১৯ বছরের রিয়া দাস সরকার।
পরিবার সূত্রে খবর, ৯ তারিখে জ্বর হয় রিয়ার। ১০ তারিখ নিয়ে যাওয়া হয় বেলেঘাটা আইডিতে। হাসপাতাল থেকে বলা হয় রক্তপরীক্ষা করতে। সেই মতো রক্তপরীক্ষা করে জানা যায়, ডেঙ্গি হয়েছে। প্লেটলেট ১ লক্ষ ৮৮ হাজার।
পরিবারে দাবি, ১১ তারিখ ফের আইডিতে নিয়ে যাওয়া হয় রিয়াকে। বলা হয় বমি হচ্ছে। কিন্তু, প্লেটলেট বেশি থাকায় আইডি হাসপাতাল ভর্তি নেয়নি। ১৩ তারিখ সকালে আইডিতে ভর্তি হন রিয়া। এর ২ ঘণ্টার মধ্যেই মৃত্যু। মৃতের দিদির প্রশ্ন, যখন বমি হচ্ছি তখন হাসপাতাল তো ভর্তি নিতে পারত, কেন ছেড়ে দিল?
এর সপ্তাহখানেক আগে, ডেঙ্গিতে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু হয় প্রমোদগড়ের বাসিন্দা, শ্যামল বসুর। যিনি ছিলেন পরিবারের একমাত্র রোজগেরে। মৃতের স্ত্রী সরস্বতী বসু বলেন, আমার গোটা সংসারটাই ডুব গেল। তিনটি বাচ্চা।
স্থানীয়দের দাবি, নিউটাউনের এই প্রমোদগড়ে, ঘরে ঘরে জ্বর। এলাকা জুড়ে চরম আতঙ্ক। কেউ কেউ স্থানীয় কাউন্সিলেরর বিরুদ্ধেও অভিযোগ করেন। তাঁদের দাবি, কাউন্সিলর চামেলির দেখাই পাওয়া যায় না। ভোটের সময় হাত জোড়ে করে বলে এই দেব, সেই দেব।
নিউটাউনের প্রমোদগড় পড়ে বিধাননগর পুরসভার ২১ নম্বর ওয়ার্ডে। এই ওয়ার্ডের তৃণমূল কাউন্সিলর, চামেলি নস্কর, পাল্টা দাবি করেছেন, এলাকা নিয়মিত পরিষ্কার করা হয়। তিনি যেতে পারেননি কারণ তাঁরই প্রথমে ডেঙ্গি হয়, তারপর টাইফয়েড।
এ দিকে, হুগলির চাপদানিতে চার দিন ধরে জ্বরে ভুগে সোমবার রাতে মৃত্যু হয় দশম শ্রেণির ছাত্র আক্রম আনসারির।