কলকাতা: পারিবারিক বিবাদ মেটাতে, উল্টোডাঙায় তৃণমূলের পার্টি অফিসেই সালিশি সভা। নেতার উপস্থিতিতে দুই মহিলাকে মারধরের অভিযোগ। এখনও অধরা অভিযুক্তররা। জামিনযোগ্য ধারায় মামলা রুজু। এসব বরদাস্ত করা হবে না, কড়া বার্তা তৃণমূল নেতা শোভন চট্টোপাধ্যায়ের।
স্থানীয় সূত্রে খবর, দিলীপ সিংহর পরিবারের সঙ্গে তাঁর ভাই রাজেশের পরিবারের দীর্ঘদিনের বিবাদ । অষ্টমীর দিন দু’পক্ষের ঝামেলা হয়।
দ্বাদশীতে পাড়ার এই তৃণমূল পার্টি অফিসে সালিশি সভা বসে।
অভিযোগ, রাজেশের পরিবারের পক্ষ নিয়ে, দিলীপ সিংহর স্ত্রী ও পুত্রবধূকে বেধড়ক মারধর করেন মহিলা তৃণমূলকর্মীরা। অভিযোগকারিণী অন্নু সিংহ বলেন, বাসু এসে আমাকে পার্টি অফিসে ডাকল। আমি বৌমা মিলে গেলাম। তারপর ওকে মারতে শুরু করল, আমাকে মারল। তখন নেতারা বসে হাসছিল। আরেক অভিযোগকারিণী অনিতা সিংহ বলেন, প্রথমে চড়, তারপর ঘুসি মারে। বেহুঁশ হয়ে পড়ে গেলাম। পার্টি অফিসের মধ্যে। সব নেতারা দেখছিল। গলা টিপে ধরেছে।
ঘটনায় মূল অভিযুক্ত বাসুদেব দত্ত, টোটন। দু’জনেই তৃণমূলের লোক বলে দাবি আক্রান্তদের। অভিযোগকারী অমিত সিংহের প্রশ্ন, কেন ফ্যামিলি ম্যাটার নিয়ে পার্টি অফিসে ডাকবে? মারবে? আমরা সুবিচার চাই।
দলের স্থানীয় নেতা-কর্মীদের বিরুদ্ধে এমন গুরুতর অভিযোগ ওঠায়, কঠোর অবস্থান নিয়েছে তৃণমূল শীর্ষ নেতৃত্ব। তৃণমূল নেতা  শোভন চট্টোপাধ্যায় জানিয়ে দেন, এসব বরদাস্ত করা হবে না।
শুক্রবার অভিযোগকারিণীদের নিয়ে স্থানীয় তৃণমূল কাউন্সিলরের কাছে যান পাড়ার লোকজন। পুলিশের সঙ্গে কথা বলে, আইন অনুযায়ী পদক্ষেপ নেওয়ার বার্তা দেন কাউন্সিলর। জোর করে আটকে রাখা, মারধর, হুমকির অভিযোগে মামলা রুজু করেছে পুলিশ।
যদিও সবকটি ধারাই জামিনযোগ্য। অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে জামিন অযোগ্য ধারা যুক্ত করার আবেদন জানিয়ে এদিন ফের থানায় যায় অভিযোগকারী পরিবার। পুলিশ জানিয়েছে, অভিযোগকারীর বয়ান রেকর্ড করা হয়েছে। আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
এদিকে ঘটনার পর থেকে খোঁজ নেই অন্যতম অভিযুক্ত বাসুদেব দত্তর। এদিন তাঁর বাড়িতে গেলেও কাউকে পাওয়া যায়নি। আরেক অভিযুক্ত টোটনের দোকানও ছিল তালাবন্ধ।