কলকাতা: রেকর্ড গড়ছে ডিজেলের দাম। মধ্যবিত্তের বোঝা চরমে। এরইমধ্যে এবার বাস ধর্মঘটের জেরে ভোগান্তি পড়তে হবে পারে সাধারণ মানুষকে।


আগামী ২৮, ২৯ ও ৩০ জানুয়ারি বাস ধর্মঘটে নামার সিদ্ধান্ত জানিয়ে পরিবহণ দফতরের প্রিন্সিপাল সেক্রেটারিকে চিঠি দিল বাস মালিকদের ৫টি সংগঠন।


ওই চিঠিতে সংগঠনের তরফে জানানো হয়েছে, কেন্দ্রের কাছে তেলের দাম কমানোর আর্জি জানিয়েছে তারা। সেইসঙ্গে জিএসটি চালু করারও দাবি জানানো হয়েছে কেন্দ্রের কাছে।


বৃহস্পতিবার কলকাতায় পেট্রোলের লিটার মঙ্গলবার পৌঁছেছে ৮৬ টাকা ৬৩ পয়সায়। একদিনে লিটারে ডিজেল হয়েছে ৭৮ টাকা ৯৭ পয়সা।


জ্বালানির উপর চাপানো কেন্দ্রীয় সরকারের বিপুল পরিমাণ উৎপাদন শুল্ক কমিয়ে সাধারণ মানুষকে রেহাই দেওয়ার দাবি তুলেছে বিরোধীরা।


এই পরিস্থিতিতে ক্রমাগত বেড়ে চলা জ্বালানির দামবৃদ্ধির জেরে ধর্মঘটের রাস্তায় হাঁটল রাজ্যের একাধিক বাসমালিক সংগঠন।


২০১৪ সালের মে মাসে মোদি সরকার ক্ষমতায় আসার আগে প্রতি লিটার পেট্রোল ও ডিজেলের উৎপাদন শুল্ক ছিল যথাক্রমে ৯.২০ টাকা এবং ৩.৪৬ টাকা


গত সাড়ে ৬ বছরে সেই শুল্ক যথাক্রমে আরও ২৩.৭৮ টাকা ও ২৮.৩৭ টাকা বেড়েছে। মোদি সরকারের এই জমানায় পেট্রোলে কর বেড়েছে প্রায় ২৫০ শতাংশ এবং ডিজেলে প্রায় ৮০০ শতাংশ।


দেশের প্রায় সব পণ্যঅ জিএসটির আওতাভুক্ত হলেও, পেট্রোপণ্য নয়। বাস মালিকদের মতে, পেট্রোল, ডিজেলে জিএসটিক অন্তভূক্ত হলে অনেকটাই দাম কমবে।


জয়েন্ট কাউন্সিল অব বাস সিন্ডিকেটের সাধারণ সম্পাদক তপন বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, আমরা সিদ্ধান্তে পৌঁছেছি ডিজেলের মূল্যবৃদ্ধি কমাতে হবে, ভাড়া বৃদ্ধির ব্যাপারে ইতিবাচক সিদ্ধান্ত নিতে হবে রাজ্যকে, এর প্রতিবাদে রাজ্যে পরিষেবা দিতে পারব না।


ভাড়াবৃদ্ধির দাবিতে ধর্মঘটের ডাক দেওয়ার আগেই কিছু কিছু রুটে বাড়তি ভাড়া নেওয়া হচ্ছে বলে অভিযোগ উঠেছে। যাত্রীদের একাংশের অভিযোগ, ৭ টাকার ভাড়া ১০ টাকা নিচ্ছে, ৮ টাকার ১২ টাকা নিচ্ছে।


বাস মালিকদের এই পদক্ষেপের নেপথ্যে রাজনীতি দেখছেন প্রাক্তন পরিবহণমন্ত্রী মদন মিত্র। ট্রান্সপোর্ট ওয়ার্কার্স ওয়েলফেয়ার কমিটি চেয়ারম্যান বলেন, বিশ্বাস করি ধর্মঘট হবে না, আমরা কথা বলছি, কয়েকজনের গ্যাস খুলে ফুলে গিয়ে সরকারের সংঘর্ষে যাবেন না।


তেলের ওপর শুল্ক নেওয়া কি কমাবে মোদি সরকার?
এই নিয়ে কোনও উত্তর না দিয়ে পেট্রোলিয়াম মন্ত্রী ধর্মেন্দ্র প্রধানের সাফাই, মহামারীর জন্য তেল-উত্পাদনকারী দেশগুলিতে উত্পাদন কমে যাওয়ায় বিশ্ববাজারে অপরিশোধিত তেলের দাম চড়ছে। তার ফলেই বাড়ছে জ্বালানির দাম।