উত্তর চব্বিশ পরগনা: দমদম, কাটোয়ার পর এবার বরানগর। ফের অমানবিক আচরণের অভিযোগ। কাঠগড়ায় গৃহশিক্ষিকা। শৌচাগারে যাওয়ার কথা বলতে না পারায় মারধর ছাত্রকে। থানায় অভিযোগ দায়ের।

অমানবিকতার আরও এক নজির! শাসনের নামে খুদে পড়ুয়াকে এলোপাথাড়ি স্কেলের বাড়ি। এবার ঘটনাস্থল খাস কলকাতার উপকণ্ঠ বরানগরে। বয়স সাকুল্যে পাঁচ। মুখে আধো বুলি। নিষ্পাপ এই শিশুই এখন তীব্র আতঙ্কগ্রস্ত! অপরাধ, নিজের মুখে শৌচাগারে যাওয়ার কথা বলতে পারেনি সে। তারই পরিনামে স্কেল দিয়ে গৃহশিক্ষিকার বেধড়ক মার! ঘটনার পর এক রাত পেরোলেও, স্বাভাবিক হতে পারছে না শিশুটি। স্কেলের আঘাতে তার কোমরে, হাতে তীব্র যন্ত্রণা। যন্ত্রণা যত না গায়ে, তার চেয়েও বেশি মনে। অসুস্থ বোধ করায় বরানগর স্টেট জেনারেল হাসপাতালেই প্রাথমিক চিকিৎসা হয় খুদে পড়ুয়ার। এরপর বরানগর থানায় অভিযুক্ত গৃহ-শিক্ষিকার বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করে ছাত্রের পরিবার।

দু’দিন আগেই এমনই দু’টি ঘটনায় শোরগোল পড়েছিল রাজ্য জুড়ে। পরীক্ষার খাতায় রোল নম্বর ভুল লিখেছিল বলে দমদমের সেন্ট স্টিফেন্স স্কুলের চতুর্থ শ্রেণির ছাত্রীর গালে সপাটে চড় কষিয়েছিলেন শিক্ষিকা। কাটোয়ায় খুদে ছাত্রকে ক্লাসে দুষ্টুমি করার শাস্তি হিসেবে মারা হয়েছিল স্কেল দিয়ে। দু’টি ঘটনাতেই অভিযুক্ত শিক্ষিকাকে সাসপেন্ড করে স্কুল কর্তৃপক্ষ। রেশ কাটতে না কাটতেই সেই একই ঘটনার পুনরাবৃত্তি বরানগরে! শাসনের নামে এমন নিষ্ঠুরতার এই ছবি দেখে শিউরে উঠছেন অনেক অভিভাবকই।