কলকাতা: পশ্চিমবঙ্গ ও অসম থেকে গ্রেফতার বাংলাদেশের জঙ্গি সংগঠন জামাত-উল-মুজাহাদিনের ৬ নেতা। ধৃতদের মধ্যে ৫ জনের নাম রয়েছে খাগড়াগড় বিস্ফোরণকাণ্ডের এনআইএ-র দেওয়া চার্জশিটে। তারা হল-- মৌলানা ইউসুফ, শাহিদুল ইসলাম, মহম্মদ রুবেল, আবুল কালাম এবং জাহিদুল ইসলাম। এছাড়াও এসটিএফের জালে আনোয়ার হুসেন ফারুক নামে এক জঙ্গি।
কলকাতা পুলিশের স্পেশাল টাস্ক ফোর্স সূত্রে খবর, এই আনোয়ার হুসেন ফারুক ওরেফ ইনাম পশ্চিমবঙ্গে জেএমবি-র ইউনিট হেড। বাংলাদেশের জামালপুরের বাসিন্দা। এসটিএফের দাবি, সবাইকে পরিচালনা করা এবং জেএমবি-র জন্য টাকা জোগাড় করাই ছিল ইনামের মূল কাজ।
ধৃতদের মধ্যে রয়েছে রাজ্যে জেএমবির সেকেন্ড-ইন্ড-কম্যান্ড, বর্ধমানের শিমুলিয়া মাদ্রাসার প্রধান মৌলানা ইউসুফ ওরফে ইউসুফ শেখ। গোয়েন্দাদের দাবি, মাদ্রাসায় এনে যুবকদের অস্ত্র প্রশিক্ষণ ও মগজ ধোলাই করত ইউসুফ। খাগড়াগড়কাণ্ডের চার্জশিট এবং এনআইএ-র মোস্ট ওয়ান্টেড তালিকায় নাম রয়েছে ইউসুফের।
ধৃতদের মধ্যে শাহিদুল ইসলাম ওরফে সূর্য বাংলাদেশের বাসিন্দা। উত্তর-পূর্ব ভারতে জেএমবি-র প্রধান। কাজ ছিল, বাংলাদেশ থেকে পশ্চিমবঙ্গে লোক ঢুকিয়ে জঙ্গি মডিউল তৈরি। নাম রয়েছে এনআইএ-র চার্জশিটে।
ধৃত মহম্মদ রুবেল ওরফে রফিক, বাংলাদেশ জামালপুরের বাসিন্দা। আইইডি বিশেষজ্ঞ। কাজ ছিল, শিমুলিয়া-সহ বিভিন্ন মাদ্রাসায় লোক আনা এবং বাংলাদেশ থেকে জঙ্গিদের বিভিন্ন জায়গায় ছড়িয়ে দেওয়া। খাগড়াগড় চার্জশিটে রুবেলেরও নাম রয়েছে।  ধৃত আবুল কালাম ওরফে আব্দুল কালাম। বর্ধমানের বাসিন্দা। অসমের বড়বেতায় জেএমবি-র হয়ে কাজ করত।
জেএমবি জঙ্গি হাতকাটা নাসিরুল্লার কাছ থেকে আইইডি তৈরির প্রশিক্ষণ নিয়েছিল। নাম রয়েছে এনআইএ-র চার্জশিটে। ধৃত জাবিদুল ওরফে জাহিদুল ইসলাম। দেশের বিভিন্ন জায়গায় জেএমবি-র মডিউল তৈরির দায়িত্বে ছিল। খাগড়াগড় চার্জশিটে রয়েছে জাহিদুলের নাম।
শনিবার জাল নোটকাণ্ডে অসমের কাছাড় থেকে জাবিরুল ইসলামকে গ্রেফতার করে কলকাতা পুলিশের এসটিএফ। পরে গোয়েন্দারা জানতে পারেন ধৃত জাবিরুলই জাহিদুল ইসলাম। খাগড়াগড়কাণ্ডে অভিযুক্ত। তার কাছ থেকেই মেলে বাকিদের খোঁজ।
৬ জেএমবি জঙ্গির গ্রেফতারির পর এনআইএ ও বাংলাদেশের গোয়েন্দাদের সঙ্গে যোগাযোগ করছে এসটিফ।