কলকাতা: কোথাও সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ৪০ ছুঁয়েছে! কোথাও বা ৪০ ছুঁইছুঁই! গরমে নাজেহাল কলকাতা সহ গোটা দক্ষিণবঙ্গ। দুই বর্ধমান, মুর্শিদাবাদ, নদিয়ার বৃষ্টির সম্ভাবনা থাকলেও, ঊর্ধ্বমুখী থাকবে পারদ, পূর্বাভাস আবহাওয়া দফতরের। আজও দিনভর তীব্র গরম ছিল শহর কলকাতায় সঙ্গে ছিল অস্বস্তিকর, ঘর্মাক্ত পরিস্থিতি। এইমুহূর্তে বৃষ্টির সম্ভাবনা নেই কলকাতা সহ গোটা দক্ষিণবঙ্গে।



এদিকে আজই তীব্র গরমে হাওড়ায় মৃত্যু হল এক যুবকের।রাস্তায় মাথা ঘুরে পড়ে যান ওই যুবক। হাওড়া জেলা হাসপাতাল মৃত বলে ঘোষণা করে। সানস্ট্রোকে মৃত্যু, অনুমান চিকিৎসকদের।


তীব্র গরমে পুড়ছে রাজ্য। সকাল থেকেই চড়া রোদ। বেলা বাড়তেই ঘেমে-নেয়ে একশা। একেবারে হাঁসফাঁস অবস্থা।  পশ্চিম বর্ধমানে সর্বোচ্চ তাপমাত্রা পৌঁছেছে ৪০ ডিগ্রি সেলসিয়াসে।


কার্যত তাপপ্রবাহের মতো পরিস্থিতি। সকাল ১০টা বাজতে না বাজতেই বাড়ি থেকে বেরনো দায়। তাও যাঁদের বেরনো ছাড়া উপায় নেই, তাঁদের প্রায় সবার মুখই রুমালে ঢাকা। ঠান্ডা পানীয়ের দোকানে উপচে পড়া ভিড়!



এক ছবি পূর্ব বর্ধমানেও। বৃহস্পতিবার সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ৩৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস ছিল। রাস্তায় বেরোলে রোদের তেজে কার্যত পুড়ে যাওয়ার জোগাড়। তারওপর আর্দ্রতা বেশি থাকায় তলানিতে স্বস্তি-সূচক। মুখে রুমাল আর মাথায় ছাতা ছাড়া বাইরে বেরনোর জো নেই। সাধারণ মানুষ থেকে ট্রাফিক পুলিশ। সবারই একই অবস্থা। দোকানে দোকানে ঠান্ডা পানীয় কিনতে ভিড়।


তপ্ত বাঁকুড়াও। সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ৪০ ডিগ্রি ছাড়িয়েছে। গরমের দাপটে ঘরবন্দি বেশিরভাগ মানুষ। এখানে আবার আর্দ্রতা কম থাকায় বইছে গরম হাওয়া! কার্যত শুনসান রাস্তাঘাট।


হাঁসফাঁস গরমে জেরবার পুরুলিয়াবাসীও। সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ৩৯ ডিগ্রি সেলিয়াসে পৌঁছেছে। গরমের দাপটে ফাঁকা রাস্তাঘাট। স্কুল-কলেজে উপস্থিতির হার কম।


কিছুটা স্বস্তি বীরভূমের বোলপুরে। দুপুরের দিকে বোলপুরে কয়েক পশলা বৃষ্টি হয়েছে।তবে জেলার বাকি অংশে অব্যাহত গরমের চোখরাঙানি।



ঝড়-বৃষ্টির কারণে ওভারহেড তার ছিঁড়ে যাওয়ায় ব্যাহত বর্ধমান-আসানসোল শাখার ট্রেন চলাচল। রেল সূত্রে খবর, তালিত ও খানা জংশনের মাঝে বহু ট্রেন দাঁড়িয়ে রয়েছে। আজ বিকেলে তার ছিড়ে যাওয়ায় খানা জংশনের আগে দাঁড়িয়ে পড়ে বর্ধমান আসানসোল গোমো প্যাসেঞ্জার।


পাশের লাইন দিয়ে যাওয়া শতাব্দি এক্সপ্রেসের বগিতে ওই তার ছিড়ে পরায় ওই ট্রেনটিকে দাঁড় করিয়ে দেওয়া হয়। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে আসেন রেলের আধিকারিকরা। তার সরিয়ে শতাব্দি এক্সপ্রেসকে রওনা করেন তাঁরা।


বিদ্যুৎ বিভ্রাটের জেরে বেঙ্গালুরু-গুয়াহাটি এক্সপ্রেস, সরাইঘাট এক্সপ্রেস, আজিমনগড় প্যাসেঞ্জার সহ একাধিক লোকাল ট্রেন পূর্ব বর্ধমানের একাধিক স্টেশনে দঁড়িয়ে রয়েছে।


আবহাওয়া দফতরের পূর্বভাস, দুই বর্ধমান, মুর্শিদাবাদ, নদিয়ার বৃষ্টির সম্ভাবনা থাকলেও দক্ষিণবঙ্গের বাকি জেলায় অস্বস্তিকর পরিস্থিতি বজায় থাকবে। ঊর্ধ্বমুখী থাকবে পারদ।