কলকাতা: সম্প্রতি শিলিগুড়িতে ডার্বি ম্যাচ দেখতে মাঠে হাজির হয়েছিলেন রাজ্যসভার সিপিএম সাংসদ ঋতব্রত বন্দ্যোপাধ্যায়। সেখানে দলীয় কর্মীদের সঙ্গে একাধিক ছবিও তোলেন তিনি। তাঁর নিজের দলেরই এক কর্মী ছবিগুলো ফেসবুকে দিয়ে ঋতব্রতকে প্রশ্ন করেছেন, বামপন্থী নেতা হয়ে কীভাবে তিনি এতদামি ঘড়ি, পেন ব্যবহার করছেন ? এই ‘বিলাসবহুল’ জীবনযাত্রা কি বাম মতাদর্শের বিরুদ্ধে নয় ? কিন্তু এরপর ঋতব্রতর বিরুদ্ধেই অভিযোগ উঠেছে, তিনি প্রশ্ন তোলায় ওই বেঙ্গালুরুবাসী যুবকের তথ্যপ্রযুক্তি সংস্থার দফতরে ফোন করে তাঁকে চাকরি থেকে সরানোর নির্দেশ দেন। এই ঘটনা সোশ্যাল মিডিয়ার সৌজন্যে প্রকাশ্যে আসায় সমালোচনার ঝড় উঠেছে।

সূত্রের খবর, দলের ভেতর ঋতব্রতর এধরনের আচরণের কড়া সমালোচনা করে আজই কোনও পদক্ষেপ গ্রহণের ইঙ্গিত দিয়েছেন বাংলার বাম নেতারা। এবিষয়ে লোকসভার সাংসদ এবং পলিটব্যুরো নেতা মহম্মদ সেলিমকে প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেন, সোশ্যাল মিডিয়ায় প্রত্যেকের নিজের মত প্রকাশের স্বাধীনতা আছে। কিন্তু সেটা স্বাভাবিক ভাবে গ্রহণ করতে না পেরে কারও চাকরি কেড়ে নেওয়ার হুমকি দেওয়া মোটেই গ্রহণযোগ্য নয়। আজকেই দিল্লিতে বৈঠকে পলিটব্যুরো সদস্যরা এপ্রসঙ্গে কোনও সিদ্ধান্ত গ্রহণ করতে পারেন বলে শোনা গিয়েছিল। সীতারাম ইয়েচুরি বৈঠক থেকে বেরিয়ে মন্তব্য করেন, ঘটনা খতিয়ে দেখে যথাযোগ্য ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। বামফ্রন্ট স্বচ্ছ পার্টি, এখানে স্বচ্ছতার সঙ্গে কাজ করা হয়। যদি কোনও ভুল হয়ে থাকে, তাহলে অবশ্যই সেটা শুধরে নেওয়া হবে।

এই ঘটনা নিয়ে ঋতব্রতর প্রতিক্রিয়া এখনও পাওয়া যায়নি। তাঁর ফেসবুক অ্যাকাউন্টও সাময়িক সময়ের জন্যে ডিঅ্যাক্টিভেট করে রাখা হয়েছে বলে জানা গিয়েছে।