কলকাতা: কেন্দ্রের বিরুদ্ধে ফের চাপ বাড়াল তৃণমূল। মিড-ডে মিলে আধার কার্ড বাধ্যতামূলক করার বিরুদ্ধে সুবোধ মল্লিক স্কোয়ার থেকে ওয়াই চ্যানেল পর্যন্ত প্রতিবাদ মিছিল। কেন্দ্রের সিদ্ধান্তের সমালোচনায় সরব বিরোধীরাও।
সোমবার মহিলা তৃণমূল কংগ্রেসের রাজ্য সভানেত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্যের নতৃত্বে সুবোধ মল্লিক স্কোয়ার থেকে ওয়াই চ্যানেল পর্যন্ত প্রতিবাদ মিছিল করে তৃণমূলের মহিলা সংগঠন। চন্দ্রিমা বলেন, কোনওভাবেই মানা যাবে না। শূন্য থেকে পাঁচ। গর্ভস্থ বাচ্চারও আধার কার্ড লাগবে নাকি?
শনিবার মিড ডে মিল সংক্রান্ত কেন্দ্রের সিদ্ধান্ত জানার পরই ট্যুইটারে ক্ষোভ উগরে দেন মুখ্যমন্ত্রী। দলনেত্রীর সুরেই মোদী সরকারকে নিশানা করেছে তৃণমূল শীর্ষ নেতৃত্ব। শোভন চট্টোপাধ্যায় বলেন, একদিকে বলছে বেটি বাঁচাও, বেটি পড়াও, আর বেটিদের আটকে দিচ্ছে। আমরা তা হতে দিচ্ছি না।
তৃণমূলের মতো, তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়া দেখিয়ে আন্দোলনে না নামলেও, কেন্দ্রের পদক্ষেপের সমালোচনা করেছে সিপিএম। রাজ্য সম্পাদকমণ্ডলীর সদস্য সুজন চক্রবর্তী কেন্দ্রের সিদ্ধান্তকে চূড়ান্ত অমানবিক বলে উল্লেখ করেন।
সরকারি পরিসংখ্যানেই উঠে এসেছে, রাজ্যে শূন্য থেকে ৫ বছর বয়সী শিশুদের অর্ধেকই এখনও আধারের বাইরে। সবাইকে নথিভূক্ত না করে কেন এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হল তা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে কংগ্রেস। দলীয় বিধায়ক মনোজ চক্রবর্তী বলেন, আগে আধারের ব্যবস্থা করুক কেন্দ্র। তারপর (নিয়ম জারি ) করো। বাচ্চারা কোথায় যাবে, প্রশ্ন তাঁর।
যদিও সেই দুর্নীতি ইস্যুকে হাতিয়ার করেই, বিরোধীদের আক্রমণের মোকাবিলা করার চেষ্টা করেছে বিজেপি। রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ বলেন, তৃণমূল দুর্নীতিকে প্রশ্রয় দিতে চায়। সে কারণেই আধারের বিরোধিতা। সব রাজ্য করছে, এই রাজ্য কেন পারছে না? দ্রুত আধারের কাজ শেষ করুক।
রাজনীতিকদের বাগযুদ্ধ চরমে। কিন্তু, এইসব কচি প্রাণ কি আর সে সব বোঝে? বোঝে কি কাকে বলে আধার কার্ড? বোঝার বয়সও হয়নি। এটুকু বোধ হয় তারা বুঝতে পেরেছে, স্কুলে গিয়ে দুপুরের খাওয়া নিয়ে দেখা দিয়েছে অনিশ্চয়তা।