অভিষেককে সোমবার ছাড়া হতে পারে, এই খবর ছড়ানোর পরই সকালে বেলভিউর সামনে ভিড় করেন অসংখ্য তৃণমূল সমর্থক। কারও হাতে ফুল, কারও হাতে প্ল্যকার্ড। হাসপাতাল সূত্রে খবর, সোমবার বিকেল চারটে নাগাদ বৈঠকে বসে চিকিৎসকদের দল। একঘণ্টার বৈঠকে অভিষেককে ছাড়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। এই সিদ্ধান্তের কথা মুখ্যমন্ত্রীকেও এসএমএস করে জানিয়ে দেওয়া হয়।
তবে বাড়ি গেলেও, চিকিৎসকরা অভিষেককে ১৫ দিন বিশ্রামে থাকতে পরামর্শ দিয়েছেন। সংক্রমণ এড়াতে বাইরের কারও সঙ্গে দেখা না করার পরামর্শও দেওয়া হয়েছে। তৃণমূলের এই তরুণ সাংসদের দেখভালের জন্য ২৪ ঘণ্টা নার্স থাকবেন। প্রয়োজন হলে চিকিৎসকরা বাড়িতে গিয়ে অভিষেককে দেখে আসবেন। তবে স্বাভাবিক খাবার খেতে বা চলাফেরা করতে কোনও অসুবিধা নেই।
এ মাসের ১৮ তারিখ বহরমপুর থেকে ফেরার সময় সিঙ্গুরের কাছে দুর্ঘটনার কবলে পড়ে অভিষেকের গাড়ি। সেই রাতেই তাঁকে বেলভিউতে নিয়ে আসা হয়। প্রতিদিন তাঁকে দেখতে একাধিকবার হাসপাতালে গিয়েছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। গত মঙ্গলবার অভিষেকের অস্ত্রোপচার করা হয়। ভাঙা অরবিট বোন সারাতে বসানো হয় টাইটেনিয়ামের প্লেট। চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, অভিষেকের গালের একটি সেলাই রবিবার কাটা হয়েছে। তবে চোখের ভিতর ও অরবিটে যে সেলাই রয়েছে তা এখনও কাটা হয়নি। বৃহস্পতি বা শুক্রবার এই সেলাই কাটা হতে পারে।