কলকাতা:  শহরে ফের শ্লীলতাহানির অভিযোগ। বর্ষবরণের রাতে আনোয়ার শাহ রোডে আক্রান্ত অভিনেত্রী। ফের প্রশ্নে শহরের নারী-নিরাপত্তা। ধৃত ৫ দুষ্কৃতির ২৪ জানুয়ারি পর্যন্ত জেল হেফাজত।
উত্তর ২৪ পরগনার বরানগরের বাসিন্দা ওই অভিনেত্রীর দাবি, গড়ফায় পার্টি করার পর রাত ২টো নাগাদ গাড়িতে করে বাড়ি ফিরছিলেন বন্ধুদের সঙ্গে। আনোয়ার শাহ রোড ধরে যাওয়ারর সময় রাস্তার পাশের একটি দোকানে পান খেতে নামেন তাঁরা।
তখনও টের পাননি, কী ঘটনা অপেক্ষা করে আছে তাঁদের জন্য! হঠাত্‍ একটি গাড়ি এসে দাঁড়ায় তাঁদের সামনে। নেমে আসে ৫ মত্ত যুবক। অভিযোগ, গাড়ি থেকে নেমেই অভিনেত্রীকে কটূক্তি করতে শুরু করে তারা। প্রতিবাদ করলে অভিনেত্রীর এক বন্ধুকে তারা মারধর করতে শুরু করে। বন্ধুকে বাঁচাতে গেলে তরুণীর শ্লীলতাহানি করা হয় বলে অভিযোগ।
ঘটনাস্থল লেক থানা এলাকায় হলেও, ওই রাতেই যাদবপুর থানায় অভিযোগ দায়ের করেন অভিনেত্রী। কিন্তু অভিযুক্তদের গাড়ির পুরো নম্বর বলতে না পারায় অসুবিধায় পড়ে পুলিশ।
পুলিশ সূত্রে দাবি, রাস্তার সিসিটিভি ক্যামেরার ফুটেজ খতিয়ে দেখে ঘটনার পরের দিন তাঁরা গাড়ির মালিকের কাছে পৌঁছন। কিন্তু সেখানে গিয়ে জানা যায়, বেশ কিছুদিন আগেই গাড়িটি বিক্রি করে দিয়েছেন তিনি। ক্রেতার নাম-ঠিকানা জোগাড় করে সোমবার রাতে লোক থানা ও চারু মার্কেট এলাকার কয়েকটি জায়গায় হানা দেয় পুলিশ।
গ্রেফতার করা হয় ২১ থেকে ৩০ বছর বয়সী ৫ অভিযুক্তকে। আটক করা হয় গাড়িটি। ধৃতদের বিরুদ্ধে, ৩৫৪ ধারায় শ্লীলতাহানি, ৩৪১ জোর করে আটকে রাখা, ৩২৩ ধারায় শারীরিক নিগ্রহের, ৫০৬-এ হুমকি এবং ৫০৯ ধারায় কটূক্তির অভিযোগে মামলা রুজু রয়েছে।
ঘটনাস্থল থেকে যাদবপুর থানার দূরত্ব বড়জোর এক কিলোমিটার। বেশি দূরে নয়, লেক থানাও। বর্ষবরণের রাতে শহরে ছিল বাড়তি নিরাপত্তা। তা সত্বেও কীভাবে ঘটল এই ঘটনা?
কেন এত এত বেপরোয়া দুষ্কৃতীরা? কোথায় দাঁড়িয়ে এই শহরে নারীদের নিরাপত্তা? উঠছে প্রশ্ন।