কলকাতা: বিশ্ববাংলা লোগো নিয়ে যারা বিশ্ববাংলাকে অসম্মান করে, তাদের কেউ ক্ষমা করবে না।  বিধানসভায় দাঁড়িয়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের এই হুঁশিয়ারির ২৪ ঘণ্টার মধ্যে ফের আসরে নামলেন মুকুল রায়। হাতিয়ার সেই বিশ্ববাংলা!

মকুলের বক্তব্য, মুখ্যমন্ত্রী বিধানসভায় দাঁড়িয়ে বললেন, ২০১৩ সালে তিনি লোগো তৈরি করেছেন। রাজ্য সরকারকে ব্যবহার করতে দিয়েছেন। তাহলে ২০১৩ সালের ২৬ নভেম্বর কেন বিশ্ববাংলার লোগোর জন্য আবেদন করলেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়? আমি বলার পরেই গত ১৩ নভেম্বর প্রত্যাহার কেন করা হল। কে সত্যি বলছেন, মমতা নাকি অভিষেক?

বুধবার মুখ্যমন্ত্রী অভিযোগ করেন, বিশ্ববাংলা লোগো নিয়ে কুৎসা ছড়ানো হচ্ছে। মিথ্যে বলা হচ্ছে। তারপরও সুর চড়িয়ে পাল্টা আক্রমণের পথে মুকুল রায়।

মুখ্যমন্ত্রী বুধবার বিধানসভায় বলেছিলেন আমি লোগো করে পয়সা নেব? ভাবতেও পারি না। এই লোগো আমি রাজ্য সরকারকে দিয়েছিলাম। সরকার এটা বিক্রি করতে পারবে না। যদি কোনওদিন সরকার এটা ছেড়ে দেয়, সেদিন এটা আমার কাছে ফিরে আসবে। এটার মধ্যে অন্যায় কীসের? এই লোগো আমার স্বপ্ন। স্বপ্ন কি কখনও বিক্রি হয়?

মমতার এই বক্তব্য নিয়েও এদিন প্রশ্ন তুলেছেন মুকুল। দাবির স্বপক্ষে নথিও পেশ করেছেন তিনি।রাজ্যের সরকারের রাজনীতিকরণ হয়ে গিয়েছে। রাজনৈতিক উত্তরের জন্য প্রিন্সিপাল সেক্রেটারিদের ব্যবহার করা হচ্ছে। মমতা বলছেন লোগো সরকারকে ব্যবহার করতে দিয়েছেন, সরকার বলছে তাদের মালিকানাধীন। বিশ্ববাংলার মালিক কে, চূড়ান্ত হয়নি..সবটাই ধোঁয়াশায় ভরা। সরকার এগিয়ে এসে সত্যিটা বলুক...তদন্ত হওয়া দরকার, বিজেপি প্রস্তুতি নিচ্ছে, মম্তব্য মুকুলের।

বিজেপি রাজ্য দফতরে বসে এদিনও রাজ্য প্রশাসনের নিরপেক্ষতা, ফোন ট্যাপিং-সহ একাধিক ইস্যুতে মুখ খোলেন মুকুল। যদিও তৃণমূল বারবার বুঝিয়ে দিয়েছে, বিজেপিতে যাওয়া, একদা দলের নম্বর টু-র কথায় তারা আদৌ গুরুত্ব দিচ্ছে না।