কলকাতা: এক রোগীর মৃত্যুর পর, সোমবার রাতে এই ছবিই দেখা গিয়েছিল রাজ্যের একমাত্র সরকারি সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে। এবার এসএসকেএমেই কর্তব্যরত দুই নার্সকে জুতোপেটা করার অভিযোগ! এক্ষেত্রেও চিকিৎসায় গাফিলতির অভিযোগে রোগীমৃত্যুর অভিযোগ ঘিরে ঝামেলার সূত্রপাত!
২৯ অগাস্ট চেতলার বাসিন্দা শঙ্কর সাউকে ম্যাকেঞ্জি ওয়ার্ডে ভর্তি করা হয়। বুধবার দুপুরে মারা যান। অভিযোগ, খবর পাওয়ার পর ওয়ার্ডে চড়াও হন রোগীর পরিজনরা। জুতো দিয়ে দুই নার্সকে মারা হয়! নিরাপত্তার দাবিতে এসএসকেএমের ডিরেক্টর এবং সুপারের কাছে স্মারকলিপি দেন নার্সরা। ঘটনায় মৃত রোগীর মেয়েকে গ্রেফতার করেছে ভবানীপুর থানার পুলিশ।
দুদিন আগেই জ্বর নিয়ে ভর্তি হওয়া এক রোগীর মৃত্যুকে কেন্দ্র করে সোমবার রাতে অগ্নিগর্ভ হয়ে ওঠে এসএসকেএম চত্ত্বর। অভিযোগ, চিকিৎসায় গাফিলতির অভিযোগ তুলে, মৃতের আত্মীয়রা ওয়ার্ডের ভিতরে ঢুকে জুনিয়র ডাক্তারদের মারধর করেন।
পাল্টা জুনিয়র ড়াক্তাররাও রোগীর আত্মীয়দের মারধর করেন বলে অভিযোগ। লাঠি হাতে দেখা যায় জুনিয়র ডাক্তারদের। নিরাপত্তা ও দালালরাজ বন্ধের দাবিতে মঙ্গলবার দফায় দফায় বিক্ষোভ দেখান তাঁরা।
হাসপাতালে গিয়ে কড়া বার্তা দেন মুখ্যমন্ত্রী। পরে এসএসএকেএমে যান মন্ত্রী অরূপ বিশ্বাস, স্বাস্থ্য সচিব, স্বাস্থ্য শিক্ষা অধিকর্তা। সন্ধেয় সরকারের চাপের মুখে পড়ে পিছু হঠেন জুনিয়র ডাক্তাররা। উঠে যায় ঘেরাও।
এদিন তাঁরা জানিয়েছেন, সাত দিনের মধ্যে দাবিদাওয়া পূরণ না হলে বৃহত্তর আন্দোলন শুরু হবে। যদিও সরকারের বার্তা স্পষ্ট, রোগী পরিষেবার সঙ্গে কোনও রকম আপস করা হবে না। প্রয়োজনে কড়া ব্যবস্থা নেওয়া হবে বিশৃঙ্খলাকারীদের বিরুদ্ধে।