কলকাতাঃ সল্টলেকের পর কসবা। ফের নির্মীয়মাণ বহুতলে রহস্যমৃত্যু। কসবার নিউ বালিগঞ্জ রোডে বহুতলের চৌবাচ্চায় মিলল শ্রমিকের দেহ। মাথায় গভীর আঘাতের চিহ্ন। প্রাথমিক তদন্তে পুলিশের অনুমান, চারতলার ওপর থেকে পড়ে গিয়েই মৃত্যু। বহুতলের প্রোমোটার ও শ্রমিকদের জিজ্ঞাসাবাদ।


পুলিশ সূত্রে খবর, বৃহস্পতিবার সকালে ওই বহুতলে কাজ শুরু করার জন্য এক মহিলা শ্রমিক চৌবাচ্চা থেকে জল তুলতে যান। তখনই তিনি দেখতে পান, এক যুবকের দেহ পড়ে রয়েছে চৌবাচ্চায়।
পুলিশ জানিয়েছে, মৃতের নাম টোটন দাস। বাড়ি মুর্শিদাবাদে। কিন্তু কীভাবে তাঁর মৃত্যু হল তা বুঝে উঠতে পারছেন না কেউ।
পুলিশ সূত্রে খবর, মৃত শ্রমিকের মাথায় গভীর আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। ভেঙে গিয়েছে হাত ও পা।
পুলিশ জানতে পেরেছে, রাতে চারতলায় অন্যান্যদের সঙ্গে ঘুমোতেন টোটন। তদন্তে প্রাথমিক অনুমান, ঘুমন্ত অবস্থায় চার তলার ওপর থেকে পড়ে গিয়েই মাথায় আঘাত পেয়েছেন টোটন। তার ফলেই মৃত্যু।
কসবা থানার পুলিশের সঙ্গে তদন্তে নেমেছে লালবাজারে হোমিসাইড শাখা। রুজু হয়েছে অস্বাভাবিক মৃত্যুর মামলা।
মৃত শ্রমিকের দেহ পাঠানো হয়েছে ময়নাতদন্তে। পুলিশের দাবি, ময়নাতদন্তের প্রাথমিক রিপোর্ট হাতে এলেই স্পষ্ট হবে মৃত্যুর কারণ।

এর আগে গত ২৩ মে সল্টলেকের ডি ডি ব্লকের একটি নির্মীয়মাণ বহুতলের ওপরে জলের ট্যাঙ্ক থেকে উদ্ধার হয় নরকঙ্কাল। ফরেন্সিক পরীক্ষার প্রাথমিক রিপোর্ট থেকে পুলিশের অনুমান, কঙ্কালটি ৫-৬ বছরের কোনও শিশুর।
সেই ঘটনার রেশ কাটতে না কাটতে এবার রহস্যমৃত্যু নিউ বালিগঞ্জ রোডের নির্মীয়মাণ বহুতলে।

ময়ূখ ঠাকুর চক্রবর্তী ও অরিত্রিক ভট্টাচার্য, এবিপি আনন্দ