কলকাতা: ফ্ল্যাটের তলার গলি থেকে উদ্ধার বিমানসেবিকার রক্তাক্ত দেহ। দুর্ঘটনা, আত্মহত্যা না হত্যা? তৈরি হয়েছে রহস্য।
কেষ্টপুরে প্রফুল্ল কানন পূর্ব এলাকার একটি ফ্ল্যাটের চার তলায় থাকতেন বছর বাইশের ক্লারা বানসারি। মেঘালয়ের শিলঙের মেয়ে। বাবা এয়ার ইন্ডিয়ায় কাজ করতেন। কয়েক মাস আগে মেয়েও একটি বেসরকারি বিমান পরিবহণ সংস্থায় চাকরি পান। তারপর থেকেই বাবার তৈরি করা এই ফ্ল্যাটে থাকছিলেন ক্লারা বানসারি।
স্থানীয় ও পুলিশ সূত্রে খবর, মঙ্গলবার রাত বারোটা নাগাদ বিমানসেবিকা ক্লারার এই ফ্ল্যাটে আসেন তাঁর বন্ধু সুদুটিয়া এবং বান্ধবী অ্যাবলিং।
অ্যাবলিংয়ের জন্মদিন উপলক্ষ্যে শুরু হয় পার্টি।
এরপর, বুধবার ভোরে এক প্রাতঃভ্রমণকারী দেখেন, ঠিক ফ্ল্যাটর তলায়, গলিতে রক্তাক্ত অবস্থায় বিমানসেবিকার দেহ পড়ে।
তদন্তে নেমে পুলিশ দেখেছে, তরুণীর ফ্ল্যাটে স্লাইডিং জানলা রয়েছে। তা হলে কি পার্টিতে মত্ত হয়ে গিয়ে কোনও ভাবে জানলা থেকে পড়ে গেলেন? না কি নেপথ্য অন্য কোনও কারণ?


বুধবার সকালে, বাগুইআটি থানার পুলিশ বিমানসেবিকার ফ্ল্যাট গিয়ে দেখেন, দরজা ভিতর থেকে বন্ধ। দরজা খুলে দেন তাঁর দুই বন্ধু। পুলিশ সূত্রে খবর, দু’জনেই মত্ত অবস্থায় ছিলেন। উদ্ধার হয়েছে বিয়ারের বোতল।
কিন্তু, কীভাবে মারা গেলেন তরুণী? অসতর্ক অবস্থায় ফ্ল্যাটের স্লাইডিং উইন্ডো দিয়ে পড়েই কি মৃত্যু? না কি বন্ধুর জন্মদিনের পার্টিতে মত্ত হয়ে বিপত্তি? কেউ পিছন থেকে ধাক্কা মেরে ফেলে দেয়নি তো? না কি তরুণী আত্মহত্যা করেছেন? না কি খুন করে কেউ দেহ গলিতে ফেলে দিয়ে গেল? নেপথ্যে কি ত্রিকোণ প্রেমের সম্পর্ক রয়েছে?
সূত্রের খবর, প্রাথমিক অবস্থায় কোনও সম্ভাবনাই উড়িয়ে দিচ্ছেন না তদন্তকারীরা। পুলিশকে ভাবাচ্ছে আরও দুটি বিষয়। তদন্তকারীদের মতে, চারতলার ফ্ল্যাটের জানলা থেকে পড়লে, গলির যেখানে পড়ার কথা, তার থেকে কিছুটা দূরেই উদ্ধার হয় বিমানসেবিকার দেহ।
বিমানসেবিকার দুই বন্ধুকে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করে পুলিশ। ঘটাস্থলে গিয়ে নমুনা সংগ্রহ করেন ফরেন্সিক বিশিষেজ্ঞরা।