মঙ্গলবারের বৈঠকে ঠিক হয়েছে, পণ্য পরিষেবা করের উর্দ্ধসীমা নির্ধারণে সাংবিধানিক ব্যবস্থা রাখা হবে না। এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেবে জিএসটি পরিষদ। জিএসটি চালু হওয়ার পর কোনও রাজ্য আর্থিকভাবে ক্ষতিগ্রস্থ হলে, টানা পাঁচ বছর কেন্দ্র সেই ক্ষতি পুষিয়ে দেবেও বলে আশ্বাস দিয়েছেন কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী। রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমত্য বন্দ্যোপাধ্যায়ও জানিয়েছেন, ক্ষতি পুষিয়ে দিলে, জিএসটি প্রশ্নে আপত্তি নেই রাজ্যের।
জিএসটি প্রশ্নে তৃণমূল প্রথমে আপত্তি তুললেও, এখন সমর্থনের হাত বাড়িয়ে দিয়েছে কেন্দ্রের দিকে। কিন্তু, গুরুত্বপূর্ণ হয়ে ওঠবে কংগ্রেসের অবস্থান।
বাদল অধিবেশনেই জিএসটি নিয়ে সংবিধান সংশোধনী বিল আনা হবে বলে জানিয়েছেন কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী। কিন্তু, কংগ্রেস জিএসটি বিলের সংশোধনী চেয়ে ইতিমধ্যেই সরব হয়েছে। তাঁদের মূল দাবি, করের ঊর্ধ্বসীমা ১৮ শতাংশ রাখতে হবে। জিএসটি পরিষদে ৭৫ শতাংশ ভোট রাখতে হবে রাজ্যগুলির হাতে। পুরসভা ও পঞ্চায়েত রাজস্ব নিরাপদ রাখতে রক্ষাকবচ তৈরি করতে হবে। কংগ্রেস সম্মত না হলে এই বিল পাস কী সম্ভব? কারণ সংবিধান সংশোধনী আনতে হলে সংসদের দুই কক্ষেই প্রয়োজন দুই-তৃতীয়াংশ ভোট।