কলকাতা: পণ্য পরিষেবা কর বা জিএসটি নিয়ে এমপাওয়ার্ড কমিটির ডাকে কলকাতায় বৈঠকে মিলিত হয়েছিলেন সমস্ত রাজ্যের প্রতিনিধিরা। ছিলেন কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী সহ ২২টি রাজ্যের অর্থমন্ত্রী ও সাত রাজ্যের আধিকারিক। মূল লক্ষ্য, পণ্য পরিষেবা কর বা জিএসটি নিয়ে মতভেদ দূর করা। সেই লক্ষ্যে পৌঁছনো সম্ভব হয়েছে বলে দাবি কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী অরুণ জেটলির। তিনি বললেন, জিএসটি-র পক্ষে তামিলনাড়ু ছাড়া মত দিয়েছে সমস্ত রাজ্য।
মঙ্গলবারের বৈঠকে ঠিক হয়েছে, পণ্য পরিষেবা করের উর্দ্ধসীমা নির্ধারণে সাংবিধানিক ব্যবস্থা রাখা হবে না। এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেবে জিএসটি পরিষদ। জিএসটি চালু হওয়ার পর কোনও রাজ্য আর্থিকভাবে ক্ষতিগ্রস্থ হলে, টানা পাঁচ বছর কেন্দ্র সেই ক্ষতি পুষিয়ে দেবেও বলে আশ্বাস দিয়েছেন কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী। রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমত্য বন্দ্যোপাধ্যায়ও জানিয়েছেন, ক্ষতি পুষিয়ে দিলে, জিএসটি প্রশ্নে আপত্তি নেই রাজ্যের।
জিএসটি প্রশ্নে তৃণমূল প্রথমে আপত্তি তুললেও, এখন সমর্থনের হাত বাড়িয়ে দিয়েছে কেন্দ্রের দিকে। কিন্তু, গুরুত্বপূর্ণ হয়ে ওঠবে কংগ্রেসের অবস্থান।
বাদল অধিবেশনেই জিএসটি নিয়ে সংবিধান সংশোধনী বিল আনা হবে বলে জানিয়েছেন কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী। কিন্তু, কংগ্রেস জিএসটি বিলের সংশোধনী চেয়ে ইতিমধ্যেই সরব হয়েছে। তাঁদের মূল দাবি, করের ঊর্ধ্বসীমা ১৮ শতাংশ রাখতে হবে। জিএসটি পরিষদে ৭৫ শতাংশ ভোট রাখতে হবে রাজ্যগুলির হাতে। পুরসভা ও পঞ্চায়েত রাজস্ব নিরাপদ রাখতে রক্ষাকবচ তৈরি করতে হবে। কংগ্রেস সম্মত না হলে এই বিল পাস কী সম্ভব? কারণ সংবিধান সংশোধনী আনতে হলে সংসদের দুই কক্ষেই প্রয়োজন দুই-তৃতীয়াংশ ভোট।
জিএসটি-তে তামিলনাড়ু বাদে রাজি সব রাজ্য, দাবি জেটলির
ওয়েব ডেস্ক, এবিপি আনন্দ
Updated at:
14 Jun 2016 04:18 PM (IST)
কলকাতা (calcutta) লেটেস্ট খবর এবং আপডেট জানার জন্য দেখুন এবিপি লাইভ। ব্রেকিং নিউজ এবং ডেইলি শিরোনাম দেখতে চোখ রাখুন এবিপি আনন্দ লাইভ টিভিতে ।
- - - - - - - - - Advertisement - - - - - - - - -