নয়াদিল্লি ও কলকাতা:  নারদ স্টিংকাণ্ডে ফরেন্সিক ল্যাবরেটরিতে এপর্যন্ত খোলা ৪৭টি ফাইলে মেলেনি কোনও বিকৃতি বা সম্পাদনার চিহ্ন। জানিয়েছে চণ্ডীগড়ের ফরেন্সিক সায়েন্স ল্যাবরেটরি। খোলা যায়নি ২৬টি ফাইল। কলকাতা হাইকোর্টে পাঠানো রিপোর্টে এই তথ্যই উঠে এসেছে। আনন্দবাজার পত্রিকায় প্রকাশিত হয়েছে এই খবর।

নারদ স্টিংকাণ্ডে হাইকোর্টে জমা পড়েছে চণ্ডীগড়ের ফরেন্সিক সায়েন্স ল্যাবরেটরির রিপোর্ট। আনন্দবাজার পত্রিকায় প্রকাশিত খবর অনুযায়ী, সেই রিপোর্টে রয়েছে,
নারদ স্টিং অপারেশনের অডিও, ভিডিও মিলিয়ে মোট ৭৩টি ফাইলের মধ্যে খোলা সম্ভব হয়েছে ৪৭টি। খোলা যায়নি ২৬টি ফাইল। খোলা ফাইলগুলির ফুটেজে কোনও বিকৃতি বা সম্পাদনার চিহ্ন পাওয়া যায়নি।

আনন্দজবাজার পত্রিকায় প্রকাশিত প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, সংশ্লিষ্ট মামলার সঙ্গে যুক্ত আইনজীবীরা জানিয়েছেন,
ল্যাবরেটরির সফ্টওয়্যারের মাধ্যমে যে ফাইলগুলি খোলা গিয়েছে, তাতে রাজ্যের কয়েকজন মন্ত্রী, শাসকদলের নেতা এবং প্রশাসনিক কর্তার নাম এসেছে।
আনন্দবাজার পত্রিকায় প্রকাশিত খবর অনুযায়ী, নারদকাণ্ড নিয়ে জনস্বার্থ মামলার শুনানিতে বারেবারে ফুটেজের সত্যতা যাচাইয়ের ওপর জোর দেন প্রধান বিচারপতি মঞ্জুলা চেল্লুর। এর প্রেক্ষিতে,
হাইকোর্ট প্রথমে ফুটেজ পাঠায় হায়দরাবাদের কেন্দ্রীয় ফরেন্সিক ল্যাবরেটরিতে। তারা ফুটেজ যাচাইয়ে অক্ষমতা প্রকাশ করে। এরপর ফুটেজ পাঠানো হয় চণ্ডীগড়ের ল্যাবরেটরিতে।
আনন্দবাজার পত্রিকায় প্রকাশিত প্রতিবেদন অনুযায়ী, মামলার শুনানি চলাকালীন ৫ অগাস্ট রিপোর্ট পাওয়ার কথা জানান প্রধান বিচারপতি। তবে সেদিন রিপোর্ট প্রকাশ করেনি ডিভিশন বেঞ্চ। পরে রিপোর্টের প্রতিলিপি তুলে দেওয়া হয় মামলায় নথিভূক্ত আইনজীবীদের হাতে। ম্যাথ্যু স্যামুয়েলের আইনজীবী অরুণাভ ঘোষ জানিয়েছেন,
আমার জুনিয়র রিপোর্টের প্রতিলিপি হাতে পেয়েছেন। ম্যাথ্যুর আইনজীবী হিসেবে তাঁর সম্মানরক্ষা করা আমার দায়িত্ব। সেই দায়িত্ব থেকেই আপনাদের জানালাম।
বিধানসভা ভোটের আগে নারদ স্টিংকাণ্ড নিয়ে রাজ্য রাজনীতি সরগরম হয়ে ওঠে। সেই ফুটেজের সত্যতা যাচাই করা সম্ভব হয়নি। এরপরই নিরপেক্ষ তদন্ত চেয়ে হাইকোর্টে তিনটি জনস্বার্থ মামলা দায়ের হয়।