কলকাতা: হাওয়াই-চপ্পল যাঁরা পরেন, তাঁদের নোটবন্দির চিন্তা কীসের। বুধবার মহাজাতি সদনের সভা থেকে এভাবেই নাম না করে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে বিঁধলেন অমিত শাহ। তিনি বলেন, নোটবন্দি নিয়ে মমতা খুব চিন্তিত হয়েছিলেন। এরপরই, তৃণমূল সুপ্রিমোকে কটাক্ষ করে বিজেপি সর্বভারতীয় সভাপতি জানান, যাঁরা হাওয়াই-চপ্পল পরেন, তাঁদের আবার চিন্তা কীসের! তৃণমূলকে কটাক্ষ করলেও, অমিত শাহর বক্তব্যের অধিকাংশটাই ছিল কংগ্রেসকে নিয়ে। এদিন গাঁধী পরিবারকে তীব্র আক্রমণ করলেন তিনি। বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতির দাবি, একমাত্র বিজেপিতেই অভ্যন্তরীণ গণতন্ত্র আছে। তিনি বলেন, আমার পর বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি কে হবে, তা কেউ জানেন না। এরপরই কংগ্রেসকে কটাক্ষ করে তিনি যোগ করেন, কিন্তু সবাই জানে কংগ্রেসে সনিয়ার পর কে দায়িত্ব নেবেন। অমিতের প্রশ্ন, যে দলের অভ্যন্তরীণ গণতন্ত্রের এই হাল, তারা কীভাবে দেশের উন্নতি করবে? অমিত শাহ বলেন, ৩ বছর পরপর বিজেপিতে সাংগঠনিক নির্বাচন হয়। তাঁর দাবি, বিচারধারার সঙ্গে কখনও সমঝোতা করে না বিজেপি। তাঁর মতে, নীতিনির্ভর দলের সংখ্যা এখন অনেক কমে গেছে। এখানেও ফের একবার কংগ্রেসকে আক্রমণ করে তিনি বলেন, কংগ্রেসের নীতি-আদর্শ নেই। সেজন্যই কংগ্রেস ভেঙে তৃণমূল সহ অনেক দল তৈরি হয়েছে। বিজেপি সভাপতির আরও দাবি, যে সমস্ত রাজ্যে বিজেপি সরকার, সেখানেই বিকাশ। সব রাজ্যের থেকে বিজেপি-শাসিত রাজ্যেই বেশি উন্নয়ন। দেশকে এগিয়ে নিয়ে চলেছে বিজেপি। তিনি যোগ করেন, গুজরাতে এই জন্যই ১৯৯০ সাল থেকে বিজেপি সরকার। কাজ ভাল হয়েছে তাই মধ্যপ্রদেশ, হরিয়ানা, ঝাড়খণ্ডে বিজেপি সরকার। অন্যদিকে, অমিতের অভিযোগ, দেশের সম্মান ধুলোয় মিশিয়ে দিয়েছিল কংগ্রেস। অমিত শাহ বলেন, এলপিজিতে এক কোটি ৪০ লক্ষ লোক ভর্তুকি ছেড়ে দিয়েছে। বেকারত্ব দূর করতে সক্ষম হয়েছে বিজেপি সরকার। ৪ কোটি মানুষের ঘরে শৌচাগার তৈরি করে দিয়েছে বিজেপি সরকার। নির্বাচনী অনুদানকে ২০০০০ টাকা থেকে ২০০০ টাকায় নামিয়েছেন মোদী। তাঁর দাবি, মানুষকে স্বপ্ন দেখাতে, স্বপ্ন পূরণে সক্ষম হয়েছে বিজেপি।
যাঁরা হওয়াই-চপ্পল পরেন, তাঁদের নোটবন্দির চিন্তা কীসের, মমতাকে কটাক্ষ অমিত শাহর
Web Desk, ABP Ananda | 26 Apr 2017 08:15 PM (IST)