কলকাতা:  দক্ষিণের পর উত্তর। আগের বার ভবানীপুর। এবার কাশীপুর। লকগেট রোডের বাসিন্দা শপিং মলে কাজ করা বিজেপি কর্মী মানস সেনের টালির চালের ঘরে বুধবার পাত পেড়ে খেলেন বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি অমিত শাহ।
দিলীপ ঘোষ, কৈলাস বিজয়বর্গীয়, রাহুল সিনহাদের সঙ্গে নিয়ে এ দিন সোয়া বারোটা নাগাদ, কাশীপুরে দলীয় কর্মীর বাড়িতে পৌঁছন নরেন্দ্র মোদির প্রধান সেনাপতি। মাটিতে আসন পেতে বসে শুরু করেন লাঞ্চ। মেনুতে ছিল-- ভাত, রুটি, শুক্তো, একাধিক ভাজা, পোস্ত, ফুলকপির তরকারি, টক দই।বিজেপি সভাপতিকে স্বাগত জানিয়েছেন  তাঁর গোটা পরিবার। পাশাপাশি তাঁরা সর্বভারতীয় সভাপতির কাছে তাঁদের কিছু সমস্যার কথাও বলেছেন।
দলীয় কর্মীর বাড়িতে লাঞ্চ সেরে বিমানবন্দরের উদ্দেশে রওনা দেন অমিত শাহ। সেখানে আবার বোমা ফাটান কৈলাস বিজয়বর্গীয়। আক্রমণ করেন তৃণমূল সরকারকে। বলেন, কেন্দ্রের কাছ থেকে যত টাকা আসছে, রাজ্য যা টাকা পাচ্ছে, তার অপব্যবহার হচ্ছে। শুধু তাই নয়, বিশ্ব ব্যাঙ্কের থেকে যে টাকা আসছে, তারও অপব্যবহার হচ্ছে। রাজ্যকে বিশ্বব্যাঙ্কের টাকা পেতে হলে গ্যারান্টার হয় কেন্দ্র। তাই প্রধানমন্ত্রীর কাছে দাবি জানাব, বিশ্ব ব্যাঙ্কের টাকা বাংলায় কী ভাবে খরচ হচ্ছে তার তদন্ত হোক।
এর পাল্টা জবাব দিয়েছে তৃণমূল। দলের সাংসদ ইদ্রিশ আলি বলেন, আগে নিজের রাজ্যগুলি সামলাক। কৈলাসের কোনও জায়গায় জায়গা নেই। বিজেপি পাগলামি করছে। এমন উল্টোপাল্টা প্রচার করে প্রধানমন্ত্রী এবং কৈলাসবাবুরা কিছু করতে পারবেন না।
অমিত শাহের কলকাতা সফরের শেষ মুহূর্তেও, এ ভাবেই চড়ল পারদ।