কলকাতা: কেষ্টপুরে আত্মঘাতী ইঞ্জিনিয়ারিং ছাত্র। বন্ধুর ফ্ল্যাট থেকে উদ্ধার ঝুলন্ত দেহ। বান্ধবীর সঙ্গে সম্পর্কে টানাপোড়েনে, অবসাদগ্রস্ত হয়ে আত্মঘাতী বলে ধারণা পুলিশের।
পুলিশ সূত্রে খবর, ইমন পুরুলিয়ার ছেলে। গতবছর চার বন্ধুর সঙ্গে ইঞ্জিনিয়ারিং পড়তে আসেন কলকাতায়। এই চারজনের মধ্যে এক তরুণী রয়েছেন, যাঁর সঙ্গে ইমনের সম্পর্ক ছিল। মেঘনাদ সাহা ইনস্টিটিউট অফ টেকনোলজির ছাত্র ইমন পেয়িং গেস্ট হিসেবে থাকতেন রুবির কাছে। তাঁর পুরুলিয়ার তিন বন্ধু থাকতে কেষ্টপুরে একটি ফ্ল্যাট ভাড়া নিয়ে।
আর ইমনের বান্ধবী থাকতেন অন্য জায়গায়। পুলিশ সূত্রে দাবি, বন্ধুবান্ধবদের সঙ্গে কথা বলে জানা গিয়েছে, কলকাতায় আসার পর থেকেই ইমনের সঙ্গে তাঁর বান্ধবীর সম্পর্কে টানাপোড়েন তৈরি হয়। ইমনের বান্ধবী সোশাল নেটওয়ার্কিং সাইটে খুব সক্রিয়। কিন্তু, তাঁর ফেসবুক-হোয়াটসঅ্যাপে চ্যাট করা নিয়ে ইমনের আপত্তি ছিল। বান্ধবীকে তিনি সেকথা বলেন। সম্প্রতি এনিয়ে তাঁদের মধ্যে বিবাদও বাধে।
বৃহস্পতিবার ইমনের তিন বন্ধু বেরোন। কিন্তু, ইমন বেরোতে চাননি। বরং তিনি বন্ধুদের কাছ থেকে ফ্ল্যাটের চাবি চান। পুলিশ সূত্রে দাবি, সেখানে গিয়ে তিনি বান্ধবীকে পাঁচবার ফোন করেন। বান্ধবী ফোন ধরেননি। এরপর বন্ধুরা ফিরে এসে ফ্ল্যাটের দরজা ধাক্কা দিলেও ইমনের সাড়া মেলেনি। পুলিশ এসে দরজা ভেঙে ইমনের ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার করে।