কলকাতা: আনন্দপুর গুলিকাণ্ডে উদ্ধার হল আগ্নেয়াস্ত্র। গতকাল স্বপন মণ্ডল ও আসাদুল ইসলাম ওরফে বাংলা রাজু নামে দুই দুষ্কৃতীকে গ্রেফতার করে পুলিশ। এদের কাছ থেকে উদ্ধার হয় একটি আগ্নেয়াস্ত্র।
এর আগে আনন্দপুর গুলিকাণ্ডে আরও ২ জনকে গ্রেফতার করে পুলিশ। ধৃত চারজনই তৃণমূল আশ্রিত বলে স্থানীয়দের দাবি। পুলিশ সূত্রে খবর, প্রোমোটিং ঘিরে সিন্ডিকেট বিবাদের জেরেই শুক্রবার আনন্দপুরে গুলি চলে।
আনন্দপুরে শুক্রবার বিকেলে শ্যুটআউটের ঘটনার পর দুদিন পেরিয়ে গেলেও এখনও থমথমে গোটা এলাকা।
শুক্রবার বিকেল পাঁচটায় বাইপাস লাগোয়া আনন্দপুরের গুলশন কলোনির এই ঘটনায় স্থানীয় বাসিন্দাদের অভিযোগ, তৃণমূলের দুই গোষ্ঠীর বিবাদের কারণেই শ্যুটআউটের ঘটনা ঘটেছে।
গুলিতে আহত ২ যুবক দাবি করেছেন, যে তাঁরা তৃণমূল কর্মী। ঘটনায় মহম্মদ সাজিদ, নাদিম আশরফ, স্বপন মণ্ডল ও আসাদুল হোসেন নামে যে চার দুষ্কৃতীকে গ্রেফতার করা হয়েছে, তারাও তৃণমূল আশ্রিত বলে স্থানীয় সূত্রে দাবি।
পুলিশ সূত্রে দাবি, ফিরোজ খান এবং মহম্মদ জুলকার নয়ন আলি, এই দুই প্রোমোটারের মধ্যে দীর্ঘদিন ধরেই বিবাদ চলছিল। ২০১০ সালে এলাকায় একটি বহুতল নির্মাণ শুরু করেন জুলকার। পরে কিছু কারণে তিনি এলাকা ছাড়েন।
বাকি নির্মাণকাজ শেষ করেন ফিরোজ। কয়েক বছর পর জুলকার ফিরে এলে দু’পক্ষের ফের বিবাদ শুরু হয়। শুক্রবার বহুতলের দখল নিয়ে দুই প্রোমোটারের দলবল সংঘর্ষে জড়ায় বলে অভিযোগ।
দুই প্রোমোটারই অবশ্য অশান্তির দায় এড়ানোর চেষ্টা করেছেন। ঘটনায় তৃণমূল ও বিজেপির মধ্যে শুরু হয়েছে রাজনৈতিক তরজা।
ফিরোজ ও জুলকার, দু’তরফই আনন্দপুর থানায় অভিযোগ দায়ের করেছে। ঘটনায় জড়িত বাকি অভিযুক্তদের খোঁজে তল্লাশি চালাচ্ছে পুলিশ।