কলকাতা: নরেন পাণ্ডে, শুভেন্দু ভট্টাচার্যের পর এবার অজয় তিওয়ারি। ফের সিআইডি-র জালে জাল চিকিৎসক। শনিবার রাতে খিদিরপুর এলাকার এক ক্লিনিক থেকে গ্রেফতার করা হয় কোঠারি মেডিক্যাল সেন্টারে চিকিৎসক হিসেব কর্মরত অজয় তিওয়ারিকে।

সিআইডি সূত্রে দাবি, ১৯৯৬ সালের ১৭ অগাস্ট থেকে কোঠারি মেডিক্যাল সেন্টারে গ্যাস্ট্রোএন্টেরোলজিস্ট হিসেবে কর্মরত অজয়। এন্ডোস্কোপিও করতেন তিনি। ধৃত অজয়ের রেজিস্ট্রেশন নম্বর ও এমবিবিএস ডিগ্রি ভুয়ো। যদিও ধৃত অজয় নিজেকে হোমিওপ্যাথি চিকিৎসক বলে দাবি করেছেন। কিন্তু, হোমিওপ্যাথি চিকিৎসক হয়ে কীভাবে এন্ডোস্কোপি করতেন অজয় তিওয়ারি? প্রশ্ন তদন্তকারীদের।

সিআইডি সূত্র দাবি, খিদিরপুরের বাবুবাজার থেকে, পাহারপুর রোড, গার্ডেনরিচ, কলুটোলা ও সিআইটি ফিলিপস মোড়ে চেম্বার রয়েছে অজয়ের। কোঠারি মেডিক্যাল সেন্টারের পাশাপাশি আইএলএস হাসপাতালের সঙ্গেও অজয় যুক্ত ছিলেন বলে জানতে পেরেছেন তদন্তকারীরা। এদিন গ্রেফতারির পর ধৃতকে নিয়ে ওয়েলিংটনে ৬ নম্বর মঠ লেনে, তাঁর বাড়িতে তল্লাশি চালায় সিআইডি।

এর আগে গত ৩ মে উত্তর দিনাজপুরের চোপড়া থেকে কাইজার আলম নামে এক জাল ডাক্তারকে গ্রেফতার করে সিআইডি। পরদিন, আলিপুরদুয়ারের বীরপাড়া গ্রেফতার হয় খুশিনাথ হালদার নামে আরও একজন। জাল চিকিৎসক খুঁজতে গিয়ে মালদা থেকেও ধরা পড়ে আরও ২ জাল চিকিৎসক। জাল সার্টিফিকেট দিয়ে চিকিৎসা করার অভিযোগে পূর্ব মেদিনীপুরের পাঁশকুড়া থেকেও গ্রেফতার হন একজন। গত ২৫ তারিখ ডাক্তারির ভুয়ো শংসাপত্রের কারবারি বলে অভিযুক্ত রমেশচন্দ্র বৈদ্য নামে এক ব্যক্তিকে গ্রেফতার করে সিআইডি। এন্টালি থেকে ধরা পড়েন নরেন পাণ্ডে। যিনি দীর্ঘসময় ধরে বেলভিউ হাসপাতালে চিকিৎসা করতেন। তারপর হাওড়ার শুভেন্দু ভট্টাচার্য। এবার জাল চিকিৎসকের তালিকায় নবতম সংযোজন অজয় তিওয়ারি।