কলকাতা: গত শুক্রবারের পর ফের এই শুক্রবার। ফের সাতসকালে দুর্ঘটনার কবলে স্কুল বাস। ফের প্রশ্নে ক্ষুদেদের নিরাপত্তা। শুধু দুর্ঘটনার জায়গাটা আলাদা। পার্ক সার্কাসের পর এবার বেলগাছিয়া।
শুক্রবার ভোর সাড়ে ছ’টা নাগাদ হেদুয়ার হোলি চাইল্ড স্কুলের পড়ুয়াদের নিয়ে যাচ্ছিল এই বাসটি। প্রত্যক্ষদর্শীদের দাবি, আর জি কর হাসপাতালের সামনে ব্রিজে উঠেই হঠাৎ নিয়ন্ত্রণ হারায় বাসটি। প্রচণ্ড গতিতে রাস্তার একদিক থেকে সটান আরেকদিকে গিয়ে ধাক্কা মারে ব্রিজের রেলিংয়ে।
ধাক্কার চোটে ব্রিজের রেলিং ভেঙে ছিটকে পড়ে। বাসের সামনের অংশ একেবারে দুমড়ে-মুচড়ে যায়। বাসটি একদিকে হেলেও যায়। বরাতজোরে শুধু ওল্টায়নি।
বাসের ভিতরে পড়ুয়ারা তখন আতঙ্কে তারস্বরে চেঁচাচ্ছে। কয়েকজন পড়ুয়া বাসের ভিতরেই ছিটকে এদিক-ওদিক পড়ে আহত হয়। সঙ্গে সঙ্গে ছুটে আসেন স্থানীয় বাসিন্দারা। আসে উল্টোডাঙা থানার পুলিশ। আহত পড়ুয়াদের নামিয়ে নিয়ে যাওয়া হয় আর জি কর হাসপাতালে। প্রাথমিক চিকিৎসার পর তাদের ছেড়ে দেওয়া হয়। পুলিশ সূত্রে দাবি, বাসে জনা কুড়ি পড়ুয়া ছিল। বাস ও চালককে আটক করা হয়।
গত শুক্রবারই পার্ক সার্কাসে বড়সড় দুর্ঘটনার মুখে পড়ে মিডলটন স্ট্রিটের লোরেটো হাউসের স্কুলবাস! আহত হয় দশেরও বেশি পড়ুয়া! মৃত্যু হয় চালকের! তপসিয়া রোড এবং পিসি কানেক্টারের মাঝামাঝি জায়গায় নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে বাসটি। সোজা গিয়ে ধাক্কা মারে মা উড়ালপুলের নীচের একটি সিগন্যাল-স্তম্ভে! তারপর একেবারে উড়ালপুলের পিলারে!
এক সপ্তাহের ব্যবধানে কার্যত একই ঘটনা ঘটল বেলগাছিয়াতেও। কিন্তু, যেখানে এত শিশুর জীবন জড়িয়ে, সেখানে পরপর দুর্ঘটনাতেও কেন ফিরছে না হুঁশ? কিসের ভরসায় বাবা-মারা ছেলে-মেয়েদের ছেড়ে দেবেন স্কুল বাসে? প্রশ্ন অনেক। উত্তর নেই।শুধুই দুর্ঘটনা আছে।