কলকাতা: ত্রিকোণ সম্পর্কের জেরে বালিগঞ্জের বহুতলে কিশোর খুন। মৃত কিশোরের মায়ের অভিযোগের ভিত্তিতে খুনের মামলা রুজু করল পুলিশ। অজ্ঞাতপরিচয়ের বিরুদ্ধে মামলা রুজু।

শনিবার রাতেই মৃত কিশোর, আবেশের মায়ের বয়ান রেকর্ড করে পুলিশ। তার ভিত্তিতেই মামলা রুজু।

বালিগঞ্জের বহুতলে কিশোর খুন। জন্মদিনের পার্টি শেষে বচসা, মারামারি। শরীরে ভাঙা বোতল ঢুকিয়ে হত্যা। তদন্তে পুলিশের অনুমান ত্রিকোণ সম্পর্কের টানাপোড়েনের জেরই এই খুন।

পুলিশ সূত্রে খবর, এক বন্ধুর জন্মদিনের পার্টি উপলক্ষ্যে বালিগঞ্জের এক বহুতলে এসেছিল বছর সতেরোর আবেশ দাশগুপ্ত। তার সঙ্গে ছিল আরও ১৭ জন। পার্টি শেষে, বহুতলের লনে এক বন্ধুর সঙ্গে আবেশের বচসা ও মারামারি হয়। অভিযোগ, সেইসময় ভাঙা কাচের বোতল দিয়ে আবেশকে এলোপাথাড়ি আঘাত করে ওই বন্ধু!

ঢাকুরিয়ার একটি হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে, আবেশকে মৃত ঘোষণা করেন চিকিৎসকরা। বালিগঞ্জ থানার সঙ্গে খুনের তদন্তে নেমেছে লালবাজারের হোমিসাইড শাখা। পুলিশ সূত্রে খবর, প্রাথমিক তদন্তে উঠে এসেছে, এক কিশোরীর সঙ্গে আবেশের ওই বন্ধুর সম্পর্ক ছিল। সম্প্রতি সেই সম্পর্ক ভেঙে যায়। আবেশের সঙ্গে নতুন করে সম্পর্ক তৈরি হয় কিশোরীর। এদিনের পার্টিতে ওই বন্ধুর সঙ্গে আবেশের দেখা হয়ে যায়। এরপরই দু’জন বচসায় জড়ায়।

পুলিশ সূত্রে খবর, শনিবার দুপুরে শহরের একটি অভিজাত ক্লাবে মধ্যাহ্নভোজ সারে আবেশ ও তার ১৬ বন্ধু। এরপর বহুতলে ফিরে আসে তারা। পুলিশের প্রাথমিক অনুমান, ভাঙা কাচের বোতলের উপর্যুপরী আঘাতে আবেশের শরীর থেকে অতিরিক্ত পরিমাণে রক্তক্ষরণ হয়। আর তাতেই মাল্টি অরগ্যান ফেলিওর হয়ে মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়ে আবেশ। খুনের পর বহুতল থেকে পালিয়ে যায় আবেশের বাকি বন্ধুরা। যদিও এই খুন পরিকল্পনামাফিক নয় বলেই প্রাথমিকভাবে মনে করছে পুলিশ। ঘটনাস্থল থেকে রক্তের নমুনা সংগ্রহ করেছেন ফরেন্সিক বিশেষজ্ঞরা। খতিয়ে দেখা হচ্ছে বহুতলের সিসিটিভি ক্যামেরার ফুটেজ। জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে নিরাপত্তারক্ষীদেরও।