কলকাতা:  পাহাড়ে বন‍ধ অবৈধ। আগের রায় বহাল রাখল হাইকোর্ট। মোর্চার ডাকা বন‍ধে কত ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে? জানতে ২ সপ্তাহের মধ্যে রাজ্যের অন্তর্বর্তী রিপোর্ট তলব আদালতের।


মোর্চা যখন পাহাড়ে বনধের রাস্তা থেকে সরতে নারাজ, তখন সেই বনধকেই ফের অবৈধ বলে ঘোষণা করল কলকাতা হাইকোর্ট।

৮ জুনের অগ্নিগর্ভ পরিস্থিতির পর, ৯ জুন অর্থাৎ গত শুক্রবার পাহাড়ে বারো ঘণ্টার বনধ ডাকে গোর্খা জনমুক্তি মোর্চা। সেদিনই এর বিরোধিতায় কলকাতা হাইকোর্টে মামলা করেন আইনজীবী রমাপ্রসাদ সরকার। শুক্রবার সেই মামলার প্রেক্ষিতে কলকাতা হাইকোর্টের ভারপ্রাপ্ত প্রধান বিচারপতি নিশীথা মাত্রে এবং বিচারপতি তপোব্রত চক্রবর্তীর ডিভিশন বেঞ্চ মন্তব্য করে,

২০১৩ সালের ৭ অগাস্ট, হাইকোর্টের তৎকালীন প্রধান বিচারপতি পাহাড়ের বনধকে অবৈধ আখ্যা দিয়ে জনজীবন স্বাভাবিক রাখার জন্য যে নির্দেশ দেন, তা এখনও বহাল থাকবে।অর্থাৎ পাহাড়ে মোর্চার ডাকা এখনকার বনধও অবৈধ।

হাইকোর্ট এদিন ২০১৩ সালের যে মামলার কথা উল্লেখ করেছে, সেটিও করেন এই রমাপ্রসাদ সরকারই। মামলার প্রেক্ষিতে সেবছরের ৭ অগাস্ট তৎকালীন প্রধান বিচারপতি অরুণ মিশ্র ও বিচারপতি জয়মাল্য বাগচীর ডিভিশন বেঞ্চ মোর্চার বনধকে অবৈধ আখ্যা দেন। সেই সঙ্গে তাঁরা নির্দেশ দেন, ভয় দেখিয়ে, গায়ের জোরে বনধ করা যাবে না৷

মোর্চা হাইকোর্টের নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ করে সুপ্রিম কোর্টে গেলেও, সর্বোচ্চ আদালত তাদের আবেদন সটান খারিজ করে দেয়। উল্টে কলকাতা হাইকোর্টের ডিভিশন বেঞ্চের প্রশংসা করে সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতিরা বলেন,

কলকাতায় বসে বনধের বিরুদ্ধে এই ধরনের নির্দেশ জারি করতে, প্রকৃত সাহস প্রয়োজন৷

এরপর পাহাড়ে বনধ সংক্রান্ত আরেকটি মামলাতেও কলকাতা হাইকোর্টে কড়া ভৎর্সনার মুখে পড়ে গোর্খা জনমুক্তি মোর্চা।

২০১৬ সালের ১২ সেপ্টেম্বর, দায়ের হওয়া একটি মামলার প্রেক্ষিতে তৎকালীন প্রধান বিচারপতি গিরিশচন্দ্র গুপ্ত প্রশাসনকে নির্দেশ দেন, পাহাড়ের বনধ কঠোর হাতে মোকাবিলা করতে। তারপর ৯ মাসও কাটল না। ফের একবার বনধ ডেকে আদালতে জোর ধাক্কা খেল গুরুংরা।