কলকাতা: তৃণমূল সরকারের দ্বিতীয় ইনিংসের প্রথম পূর্ণাঙ্গ বাজেটে বরাদ্দ বাড়ল পরিকল্পনা খাতে। জোর কর্মসংস্থান এবং ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্পেও। অর্থমন্ত্রী অমিত মিত্রের দাবি ক্ষুদ্ধ ও মাঝারি শিল্পে উন্নতির জেরে রাজ্যে কর্মসংস্থানের সুযোগ বেড়েছে। চলতি আর্থিক বছরে কর্ম সংস্থানের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে ২২ লক্ষ।
২০১১-র তুলনায় রাজস্ব ও আর্থিক ঘাটতি কমেছে বলেও দাবি অর্থমন্ত্রীর। পরিকল্পনা খাতে ব্যয় বরাদ্দ বাড়িয়ে ৫৭ হাজার ৯০৫ কোটি টাকা করার প্রস্তাব দিয়েছেন অর্থমন্ত্রী। পাশাপাশি, উচ্চ শিক্ষা খাতেও বরাদ্দ বৃদ্ধি এবং স্কুল, কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয়গুলিতে দু’হাজার ই-ক্লাসরুম চালুর প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে রাজ্য বাজেটে।
এছাড়া কর ব্যবস্থার সরলীকরণের স্বার্থে ম্যানুয়াল পদ্ধতির বদলে অনলাইনে টিডিএস সার্টিফিকেট দেওয়ার কথা ঘোষণা করেছেন অর্থমন্ত্রী। পাশাপাশি প্রফেশনাল ট্যাক্স বা বৃত্তি কর ছাড়ের ঊর্ধ্বসীমা বাড়িয়ে ১০ হাজার টাকা করার প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে রাজ্য বাজেটে। এছাড়া ১ লক্ষ টাকার কম বকেয়া করের ক্ষেত্রে সরকার আর কোনও মামলা করবে না বলে বাজেট প্রস্তাব দিয়েছেন অর্থমন্ত্রী।
পাশাপাশি, ফাস্ট ট্র্যাক কোর্টে দ্রুত শুনানি হওয়ায়, ভ্যাট ও সেলস ট্যাক্স সংক্রান্স সমস্যার জন্য গঠিত সেটলমেন্ট কমিশন তুলে প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে বাজেটে।
অর্থনীতিবিদদের একাংশের মতে, বাজেট অনুযায়ী একদিকে যেমন পরিকল্পনা খাতে বরাদ্দ বেড়েছে তেমনই পরিকল্পনা বহির্ভূত খাতে খরচ কমেছে। বাজেটে বড় শিল্প বা বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চলের কোনও উল্লেখ না থাকলেও, অর্থনীতিবিদদের একাংশের মতে, উন্নত পরিকাঠামো থাকলে বড় শিল্প আপনাআপনিই আসবে।
মুখ্যমন্ত্রী এই বাজেটের প্রশংসা করে বলেছেন, সুইট অ্যান্ড সাউন্ড বাজেট।সামগ্রিকভাবে অর্থনীতিক এবং সামাজিক দিক থেকে পিছিয়ে পড়া মানুষদের উন্নয়ন এবং কর্মসংস্থানই যে সরকারের মূল লক্ষ্য, এই বাজেটেই সেই বার্তা দেওয়ার চেষ্টা হয়েছে বলে মত পর্যবেক্ষকদের একাংশের।