উত্তর ২৪ পরগনা: শুভেন্দুকে নিয়ে জল্পনার মধ্যেই এবার বিজেপির পথে ব্যারাকপুরের তৃণমূল বিধায়ক শীলভদ্র দত্ত-ও?
সূত্রের খবর, শনিবার মেদিনীপুরে অমিত শাহের সভায় একমঞ্চে থাকার সম্ভাবনা শীলভদ্রের। বেশ কিছুদিন ধরেই ‘বেসুরো’ বর্ষীয়ান বিধায়ক শীলভদ্র। মানভঞ্জনে যাওয়া পিকের টিমকেও ফিরিয়ে দিয়েছিলেন। বাড়িতে গিয়ে দেখা পাননি তৃণমূলের জেলা সভাপতি জ্যোতিপ্রিয়।
সাম্প্রতিককালে তৃণমূলের একাংশের মধ্যে পিকে-কে নিয়ে অসন্তোষ তৈরি হয়েছে। সদ্য বিজেপিতে যোগ দেওয়া কোচবিহারের বিধায়ক মিহির গোস্বামী থেকে শীলভদ্র দত্ত, কৃষ্ণচন্দ্র সাঁতরা, নিয়ামত শেখ, জটু লাহড়ি।
দল ছাড়ার আগে প্রাক্তন তৃণমূল নেতা মিহির গোস্বামী বলেছিলেন, ঠিকাদারি সংস্থা দিয়ে দল চালালে ক্ষতি হবে। একইভাবে, টিম পিকে-র বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে দেন ব্যারাকপুরের তৃণমূল বিধায়ক শীলভদ্র দত্ত। বলেছিলেন, যে একদিনের জন্য রাজনীতি করেনি, সে আমায় জ্ঞান দেবে মানতে পারছি না।
শুধু তাই নয়, প্রাক্তন মন্ত্রী ও তৃণমূল নেতা মদন মিত্রও বলেন, আমি কামারহাটির মানুষকে কেমন করে কাছে পাব, সেটা পিকে আমায় শেখাবে?
এই পরিস্থিতিতে গতমাসের শেষদিকে ভোটের স্ট্র্যাটেজি ঠিক করার বদলে বিক্ষুব্ধ নেতাদের মানভঞ্জনে নামতে হয়েছে টিম পিকেকে! ব্যারাকপুরের বিধায়কের বাড়িতে যান টিম পিকে-র দুই সদস্য।
সর্বসাকুল্যে ছিলেন মিনিট পাঁচেক। তৃণমূল বিধায়ক, টিম পিকে-র সদস্যদের সটান জানিয়ে দেন, আপনাদের নতুন করে কিছু বলার নেই। যা জানানোর দলকে জানিয়ে দিয়েছি। আমার সিদ্ধান্তে আমি অনড়!
টিম পিকে নিয়ে আগেই নিজের ক্ষোভ প্রকাশ্যে জানিয়েছিলেন শীলভদ্র দত্ত। বলেছিলেন, ২০-২২ বছরে এসে যে একদিনের জন্য রাজনীতি করেনি, সে আমায় জ্ঞান দেবে মানতে পারছি না।
এখনও তৃণমূল বিধায়ক পুরনো অবস্থানেই অনড়! বলেন, দলের কোনও নেতৃত্ব এলে ভাল হত। ওদের কিছু বলার নেই। আমি আমার সিদ্ধান্তে অনড়। আমাকে জেলা সভাপতি ফোন করেছিলেন। আমি বলেছিল সিদ্ধান্ত বদলাবে না। উনি চা খেতে বললেন, চা খেতে আসতেই পারেন
দলীয় বিধায়ক অসন্তোষ প্রকাশ করতেই তাঁর মানভঞ্জনে বাড়িতে হাজির হন জেলা তৃণমূল সভাপতি জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক। কিন্তু সেই সময় বাড়িতে ছিলেন না শীলভদ্র দত্ত।
তাঁর সঙ্গে দেখা করার জন্য দীর্ঘক্ষণ অপেক্ষাও করেন মন্ত্রী। জ্যোতিপ্রিয় বলেন, শীলভদ্র ভোটে দাঁড়াবেন কি না সেটা ব্যক্তিগত মত হতেই পারে, দীর্ঘদিনের বন্ধ, আমি কথা বলতে এসেছি।