লখনউ ও কলকাতা:  আইআইএম লখনউয়ে বাঙালি ছাত্রর রহস্যমৃত্যু। হস্টেলের ঘর থেকে উদ্ধার ঝুলন্ত দেহ।  মৃত ছাত্রের নাম সোহম মুখোপাধ্যায়। তাঁর বাড়ি দক্ষিণ কলকাতায়। সোহম স্নাতকোত্তরের দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্র ছিল।

সোহমের লখনউ আইআইএম-এর সহপাঠীরা জানিয়েছেন, সোমবার সন্ধেবেলা, তাঁদের সঙ্গে বেশ কিছুক্ষণ গল্পগুজবও করেন সোহম, তাঁদের ব্যাচের অন্যতম সেরা ছাত্র ছিলেন তিনি। তারপর ঠিক দুদিন বাদে, প্রতিষ্ঠানের হোস্টেলের ঘর থেকে উদ্ধার হল সোহমের ঝুলন্ত দেহ। ফ্যানের সঙ্গে ঝুলছিল সোহমের দেহ। প্রাথমিক তদন্তে পুলিশের অনুমান, এটি একটি আত্মহত্যার ঘটনা, যদিও দেহের পাশ থেকে কোনও সুইসাইড নোট উদ্ধার হয়নি।

২৪ বছরের সোহম এমবিএ-র দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্র ছিলেন। দক্ষিণ কলকাতার লেক গার্ডেন্স এলাকায় তাঁর বাড়ি। বাবা-মা এখানেই থাকেন। আইআইটি গুয়াহাটি থেকে ইঞ্জিনিয়ারিং পাস করে বেশ কয়েক বছর একটি বহুজাতিক সংস্থায় কাজ করেছেন সোহম। তারপর গত বছরই আইআইএম লখনউয়ে আসেন এমবিএ পড়তে।

সোমবার থেকেই আচমকা সোহম কারও সঙ্গে সেভাবে কথা বলছিলেন না। কারও ফোনও ধরছিলেন না। সেদিনের পর তাঁকে হোস্টেল রুমের বাইরে কেউ দেখেননি বলেও জানা গিয়েছে। আপাতত, তদন্তের জন্যে সোহমের ল্যাপটপ এবং মোবাইল ফোনটি বাজেয়াপ্ত করেছে পুলিশ। পড়ুয়ার বন্ধুদের সঙ্গেও কথা বলছে সেখানকার পুলিশ। পুলিশ সূত্রে দাবি, তাঁরা বিভিন্ন লোকের সঙ্গে কথা বলে জেনেছেন বেশ কয়েকদিন ধরে ব্যক্তিগত কোনও সমস্যার কারণে হতাশায় ভুগছিলেন সোহম। এই সপ্তাহে একটা ক্লাসও তিনি করেননি।

এদিকে আইআইএম কর্তৃপক্ষের দাবি, পড়াশোনায় প্রথম থেকেই খুব ভাল ছিলেন সোহম। এছাড়া প্রতিষ্ঠানের সমস্ত এক্সট্রাকারিকুলার অ্যাক্টিভিটিতেও অংশ নিতে দেখা গিয়েছে সোহমকে। সোহমের মৃত্যুতে দুঃখপ্রকাশ করে একটি প্রেস বিবৃতি দিয়েছে আইআইএম কর্তৃপক্ষ।