কলকাতা: দেশের একের পর এক রাজ্যে বাড়ছে বার্ড ফ্লু আতঙ্ক, আর তার সঙ্গেই পাল্লা দিতে শুরু করেছে পাঁঠার মাংসের দাম। বঙ্গে এখনও অবশ্য থাবা বসাতে পারেনি বার্ড ফ্লু। কিন্তু দেশজোড়া আতঙ্কের মাঝেই চিকেনের বিক্রি ইতিমধ্যে কমে গিয়েছে প্রায় ৪০ শতাংশ। আর উল্টোদিকে মাটনের বিক্রি বেড়েছে ৩০ শতাংশ। বিক্রি বাড়ার সঙ্গেই পাল্লা দিয়ে বাড়ছে দামও।

কলকাতার বিভিন্ন বাজারের ছবিটা এই মুহূর্তে ঠিক কেমন, সেই খোঁজটা নেওয়া যাক। বেহালা, যাদবপুর, ভবানীপুর, শোভাবাজারের বিভিন্ন বাজারে একধাক্কায় ১০ থেকে ২০ শতাংশ দাম বেড়ে গিয়েছে মাটনের। এই মুহূর্তে তিল্লোত্তমায় পাঁঠার মাংস খাওয়ার রসনাতৃপ্তি করতে হলে কেজি প্রতিতে খরচ করতে হবে ৬৮০ থেকে ৭২০ টাকা। কলকাতা পার্শ্ববর্তী এলাকায় দাম ঘোরাফেরা করছে কেজিপ্রতি ৬৫০ টাকার কাছাকাছি।

গত ডিসেম্বরের শেষে কলকাতায় পাঁঠার মাংস বিক্রি হয়েছে কেজিপ্রতি ৬২০ টাকায়। নতুন বছরের শুরুর সপ্তাহে যা অল্প বেড়ে ঠেকেছিল প্রায় সাড়ে ছশো টাকার কাছাকাছি। আর বার্ড ফ্লু আতঙ্ক দেশজুড়ে গ্রাস করা শুরু করতেই এবার দামবৃদ্ধির গতি বেশ খানিকটা বেড়েছে।

ইতিমধ্যে রাজস্থান, হিমাচল প্রদেশ, মধ্যপ্রদেশ, দিল্লির মতো জায়গায় দেখা গিয়েছে পাখিদের মড়ক। মৃত কাক, পরিযায়ী পাখিদের পরীক্ষা-নিরীক্ষার পর প্রমাণিত হয় তাদের শরীরে অ্যাভিয়ান ইনফ্লুয়েঞ্জার উপস্থিতি। আর পাখিদের শরীরে বার্ড ফ্লু-র উপস্থিতির খোঁজ মেলার পরই আতঙ্কের রেশ পড়েছে খাবার টেবিলেও।

দক্ষিণ কলকাতার এক ব্যবসায়ীও স্বীকার করে নিয়েছেন, জানুয়ারির প্রথম সপ্তাহে প্রথম বার্ড ফ্লু-র খবর ছড়িয়ে পড়ার পর থেকেই প্রায় প্রত্যেকদিনই বেড়েছে মাটনের দাম। উত্তর কলকাতাতেও কার্যত একই ছবি ধরা পড়েছে। যদিও কিছু দোকান এখনও আগের দামই বজায় রেখেছে। উল্টোদিকে কলকাতা শহরজুড়ে চিকেনের পাইকারী দাম আপাতত কেজি প্রতি ১৬০ টাকা।

ক্রেতাদের বক্তব্য, পশ্চিমবঙ্গে যদিও এখনও বার্ড ফ্লু-র কোনও ঘটনা ধরা পড়েনি, কিন্তু সতর্কতা অবলম্বনের পদক্ষেপ হিসেবেই মাটন কেনার দিকে ঝুঁকছেন তারা।