কলকাতা ও নয়াদিল্লি: নোট বাতিল এবং তারপর রোজভ্যালিকাণ্ডে সুদীপ-তাপসের গ্রেফতারি নিয়ে তৃণমূল-বিজেপি বাগযুদ্ধ এমনিতেই তুঙ্গে। সেই টানাপোড়েন এবার গড়াল আইনের চৌকাঠে।
ইতিমধ্যেই বাবুল সুপ্রিয়র বিরুদ্ধে কটূক্তির অভিযোগ দায়ের করেছেন তৃণমূল বিধায়ক মহুয়া মৈত্র। সেই অভিযোগের ভিত্তিতে বাবুল সুপ্রিয়কে এদিন নোটিস পাঠিয়েছে আলিপুর থানা। ১২ তারিখ বেলা ১২টায় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য থানায় তলব করা হয়েছে কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রীকে। মহুয়ার অভিযোগের পাল্টা মানহানির অভিযোগে মহুয়া মৈত্রকে নোটিস পাঠিয়েছেন আসানসোলের বিজেপি সাংসদ বাবুল সুপ্রিয়।
এদিন কেন্দ্রীয় ভারী শিল্প প্রতিমন্ত্রী অভিযোগ করেন, মহুয়া তাঁর বিষয়ে আপত্তিকর মন্তব্য করেছেন। বাবুল বলেন, একটি টিভি চ্যানেলে (মহুয়া) বলেছেন, প্রধানমন্ত্রী ও বাবুল সুপ্রিয় কালো টাকা বিদেশে পাঠাচ্ছে।
মহুয়া মৈত্রর পাশাপাশি তৃণমূল সাংসদ সৌগত রায়কেও মানহানির অভিযোগে আইনি নোটিস পাঠিয়েছেন বাবুল সুপ্রিয়। সৌগত রায় আবার বাবুলের বিরুদ্ধে অভিযোগ তুলেছেন। বলেন, মামলা করুক। নিজে প্রোগ্রামে নিয়ে গেছি ৭ লক্ষ টাকা দিয়ে। ক্যাশে টাকা নিয়েছে। হিসেব দিক। নোটিস পাঠালে জবাব দেব।



আইনি নোটিস পাঠানোর পাশাপাশি সৌগত রায়ের অভিযোগের জবাব দিয়েছেন বাবুল। বলেছেন, ওই অনুষ্ঠানের জন্য ৩ লক্ষ টাকা কথা হয়। ২ লক্ষ ক্যাশ দেয়। ডিক্লেয়ার করা আছে। সৌগত রায় ফোন করে বলেন, তৃণমূল দুঃস্থ শিল্পীদের জন্য কাজ করছে। অনুরোধ করা হয়, যাতে বাকি টাকা না নিয়ে প্রোগ্রামটা করে দেন।
রোজভ্যালিকাণ্ডে ধৃত তৃণমূল সাংসদ তাপস পাল দাবি করেছিলেন, গৌতম কুণ্ডুর ঘরের ছেলে বাবুল। এই প্রেক্ষিতে তাঁর বিরুদ্ধেও মানহানির অভিযোগে নোটিস পাঠিয়েছেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী বাবুল। তৃণমূল অবশ্য এখনও রোজভ্যালির সঙ্গে বাবুল সুপ্রিয়র ঘনিষ্ঠতার অভিযোগে সরব। মঙ্গলবার দিল্লির ধর্নায় তাদের প্ল্যাকার্ডেও এই বিষয়টি তুলে ধরেন তৃণমূল সাংসদরা।
রাজনৈতিক তরজা থেকে আইনি লড়াই, উত্তপ্ত কলকাতা থেকে দিল্লি।