কলকাতা: অক্টোবরের স্মৃতি ফিরল ডিসেম্বরে! বিজেপির কর্মসূচি ঘিরে, শীতের কলকাতায় উত্তেজনার আঁচ!
ক’দিন আগে মুখ্যমন্ত্রীকে অশালীন ভাষায় আক্রমণ করেছিলেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি। যার জেরে দিলীপ ঘোষকে উদ্দেশ্য করে পাল্টা একটি মন্তব্য করেন নুর রহমান বরকতি। প্রতিবাদে বৃহস্পতিবার দুপুরে মিছিলের কর্মসূচি নেয় বিজেপি। তাদের প্ল্যাকার্ড, ব্যানার সবেতেই ছিল মন্তব্যের বিরোধিতার বার্তা। বিজেপির মিছিলের প্রেক্ষিতে স্কুল অব ট্রপিক্যাল মেডিসিনের আগে ব্যারিকেড করে পুলিশ। কিন্তু বিজেপি কর্মীরা সেই ব্যারিকেড ভাঙার চেষ্টা করলে পরিস্থিতি উত্তপ্ত হয়ে ওঠে। রণংদেহী হয়ে ওঠেন বিজেপি কর্মীরা। পাল্টা লাঠিচার্জ করে পুলিশও। লকেট চট্টোপাধ্যায়-সহ কয়েকজনকে ঘটনাস্থল থেকে গ্রেফতার করা হয়।
এর কিছুটা আগে, আটকানো হয় দিলীপ ঘোষ-সহ কয়েকজন বিজেপি নেতাকে। যার জেরে দু’পক্ষের মধ্যে বেশ কিছুক্ষণ ধস্তাধস্তি হয়। এই ঘটনায় পুলিশের বিরুদ্ধে জুলুমের অভিযোগ তুলেছে বিজেপি। দিলীপ ঘোষ বলেন, আমরা মালা দিতে চাইছিলাম। কিন্তু যেতে দিল না। পুলিশ অত্যাচার করল। ভাঙা লাঠি নিয়ে দেখাচ্ছে। তৃণমূল তো আরবিআইয়ের সামনে ১৪৪ ধারা সত্ত্বেও ধর্না দিচ্ছে, ওকে দিল্লিতে গণতন্ত্র দেওয়া হয়েছিল। আমরা পেলাম না।
যদিও, সাম্প্রতিক বিভিন্ন ঘটনার প্রসঙ্গ টেনে শাসক শিবিরের পাল্টা দাবি, বিশৃঙ্খলা তৈরির জন্যই বারবার এ ধরনের কর্মসূচি নিচ্ছে বিজেপি। আবার বিজেপির দাবি পুলিশের লাঠির আঘাতে, তাদের ৮ দলীয় কর্মী জখম হয়েছেন। ঘটনার জেরে শুক্রবার জেলায় জেলায় বিক্ষোভের ডাক দিয়েছে বিজেপি। ২১ ডিসেম্বর জেলাশাসকদের দফতর ঘেরাওয়ের কর্মসূচি নিয়েছে তারা।
গত ২০ অক্টোবর, একই রকম ছবি দেখা গিয়েছিল হাজরা মোড়ে। আসানসোলে, বাবুল সুপ্রিয়র উপর আক্রমণের প্রতিবাদে, সেদিন মুখ্যমন্ত্রীর বাড়ির দিকে যাওয়ার চেষ্টা করেছিল বিজেপি। বাধা দেওয়ায় পুলিশের সঙ্গে খণ্ডযুদ্ধ হয়।